বিটন চক্রবর্তী, পাশকুঁড়া: নিজেদের দলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধেই অনাস্থা (no confidence motion) আনলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার রঘুনাথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। দুর্নীতি ও তোলাবাজির অভিযোগ এনে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অজিত সামন্তকে সরিয়ে দিয়েছেন তাঁরই দলের সদস্যরা। গোটা ঘটনায় দলীয় সতীর্থদের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছেন অপসারিত প্রধান।
পাঁশকুড়ার রঘুনাথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অজিত সামন্ত নানা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল (tmc) পরিচালিত ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্য সদস্যরা। গত বছরের ৪ঠা ডিসেম্বর প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে চাইলেও কোভিডের বাড়বাড়ন্তে তা বন্ধ হয়ে যায়। তারপরেও একাধিকবার অনাস্থা বৈঠক করার উদ্যোগ নিলেও তা বিভিন্ন কারণে বাতিল হয়ে যায়। পরে দলের তরফে অনাস্থা বৈঠকে দলীয় সদস্যদের না যেতে হুইপ জারি করা হয় জেলা তৃণমূলের তরফে। কিন্তু সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পঞ্চায়েতের ১৫ সদস্যের মধ্যে ৯ জন উপস্থিত থেকে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ করায়।
রঘুনাথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫টি আসনের মধ্যে ১১টি পেয়েছিল তৃণমূল। সিপিএম (cpm) পেয়েছিল ৩টি এবং নির্দলের দখলে যায় ১টি আসন। তিনজন সিপিএম ও এক নির্দল সদস্য পরে তৃণমূলে যোগ দেন।
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগই সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি অপসারিত প্রধান অজিত সামন্তর। তাঁর অভিযোগ, 'যারা অনাস্থা এনেছেন, তাঁরা তৃণমূলের কেউ নয়, ওঁরা সিপিএম ও বিজেপি। দলটাকে খেলো করার জন্য, কেউ বা কারা ইন্ধন দিয়ে অনাস্থা পাশ করেছে।' যদিও গোটা ঘটনা নিয়ে কড়়া অবস্থান নেওয়ার হুঁশিয়ারি জানিয়েছে জেলা তৃণমূল। পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি হানিফ মহম্মদের দাবি,' দলীয় নির্দেশ অমান্য করে এই অনাস্থা আনা হয়েছে। দলকে বলব ব্যবস্থা নিতে।' তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই এমন ঘটনা ঘটছে, কটাক্ষ জেলা বিজেপি (bjp) নেতৃত্বের।
আরও পড়ুন: মমতার নির্দেশে মনোনয়ন তুলে নিয়েছিলেন, অসুস্থ শরীরে দলের হয়ে প্রচারও করলেন সুভাষ