রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: ‘জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) তিনটি পুরসভায় (Municipality) বিরোধী বলে কিছু থাকবে না। ৫৭টি আসনেই জিতবে তৃণমূল (TMC)।’ জলপাইগুড়িতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন মন্ত্রী ও তৃণমূলের নির্বাচনী কোঅর্ডিনেটর অরূপ বিশ্বাস (Aroop Biswas)। বিরোধীদের তীব্র কটাক্ষ করেছেন তিনি।


রবিবার রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় ভোট (Municipal Election)। সম্প্রতি রাজ্যের চারটি কর্পোরেশনের ভোটেই নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে রাজ্যের শাসক দল। যে চারটি কর্পোরেশনে ভোট হয়েছে, তার মধ্যে ছিল শিলিগুড়িও (Siliguri)। এই প্রথমবার শিলিগুড়ি পুরসভা তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই শিলিগুড়ির এই ফলে জয়ের আশায় জলপাইগুড়ির তৃণমূল নেতৃত্ব। 


আরও পড়ুন ‘কাঁচা বাঁশ কেটে রেখেছি, প্রয়োজনে ব্যবহার করব’, পুরভোট নিয়ে দিলীপ, ‘বাঁশ কাটার লোকই নেই’, পাল্টা তৃণমূল


রবিবার জলপাইগুড়ির ২৫টি ওয়ার্ড, ময়নাগুড়ির ১৭টি ওয়ার্ড এবং মাল পুরসভার ১৫টি ওয়ার্ডে ভোট হবে। তার দিন কয়েক আগেই জলপাইগুড়িতে গিয়ে তিন পুরসভা বিরোধীশূন্য করার ডাক দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বিরোধীদেরও তীব্র আক্রমণ করেছেন জলপাইগুড়ি জেলায় পুরভোটে তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর। তিনি বলেছেন, ‘কংগ্রেসকে মানুষ বলছে ফুটো নৌকো। ওতে যে বসবে সে-ই ডুববে। সিপিএম পার্টিটা খায় না মাথায় দেয় কেউ জানে না। আর বিজেপি বাংলার মানুষের শুধু মিথ্যে প্রতিশ্রুতি আর ভাঁওতা দিয়ে ভোট নিয়েছে সেটা ধরা পড়ে গিয়েছে। জগাই মাধাই গদাইয়ের বিরুদ্ধে আমরা লড়ছি।’


২০১৫-র পুরভোটে বিজেপির সে অর্থে অস্তিত্ব না থাকলেও, গত বিধানসভা ভোটের নিরিখে জলপাইগুড়ি ও মাল পুরসভায় তৃণমূলকে পিছনে ফেলেছে গেরুয়া শিবির। নবগঠিত ময়নাগুড়ি পুরসভাতেও বিজেপি-র উত্থান চোখে পড়েছে। শাসকদল বিরোধীশূন্য করার ডাক দিলেও, পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেস। সবমিলিয়ে পুরভোটের আগে শাসক-বিরোধী বাগযুদ্ধে সরগরম জলপাইগুড়ি।


অন্যদিকে, নির্দল হিসেবে তমলুক পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটে দাঁড়িয়েও প্রচারে নেমে নিজেকে তৃণমূল বলে পরিচয় দিচ্ছেন বহিষ্কৃত প্রাক্তন কাউন্সিলর। তৃণমূলের টিকিট না পাওয়ায় নির্দল হিসেবে লড়ছেন তিনবারের কাউন্সিলর ভানুপদ সাহা। নির্দেশ না মানায় তাঁকে দল বহিষ্কার করা হয়েছে। এরপরও প্রচারে বেরিয়ে নিজেকে তৃণমূল বলে পরিচয় দিচ্ছেন বহিষ্কৃত নেতা। তাঁর সাফাই, দীর্ঘদিনের অভ্যাস, তাই এই ভুল। নির্দল-বিজেপি আঁতাঁতের অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল প্রার্থী। অভিযোগ অস্বীকার নির্দল ও বিজেপি প্রার্থীর। যদিও এই ওয়ার্ডে এখনও প্রচারেই নামেননি বিজেপি প্রার্থী।