ঋত্বিক প্রধান, কাঁথি: তাঁর খাসতালুক। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির ১৩ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানে গিয়ে ফের তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।


শুভেন্দুর সামনেই পরপর স্লোগান উঠল, 'জয় বাংলা, মমতা জিন্দাবাদ, অভিষেক জিন্দাবাদ'। চুপ করে ছিল না বিজেপিও। দলের নেতার সামনে তৃণমূলকে স্লোগান দিতে দেখে পাল্টা স্লোগান উঠল, 'জয় শ্রীরাম, ভারত মাতা কি জয়, শুভেন্দু অধিকারী কি জয়।'


বুধবারই প্রথম নয়। এর আগেও নিজের খাসতালুকে তৃণমূলের বিক্ষোভের সামনে পড়েছেন শুভেন্দু। গত শুক্রবার, কাঁথির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডেই, শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির প্রচার ঘিরে ধুন্ধুমার বেঁধে গিয়েছিল। সেদিন কাঁথির সুপার মার্কেট চত্বরে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার করতে গিয়েছিলেন নন্দীগ্রামেরক বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এদিন কাঁথির অমর্ত্যপল্লিতে দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে যান তিনি। একই দিনে সেখানে সভা ছিল তৃণমূলেরও। সেখানে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির সহ সভাপতি সুব্রত বক্সীর একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। যখন উত্তেজনা শুরু হয় তখনও সুব্রত বক্সী এসে পৌঁছননি। তখন ওই এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার করছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, সঙ্গে ছিলেন বিপুল সংখ্যক বিজেপি কর্মী, সমর্থক। ঠিক তখনই তৃণমূলের অনুষ্ঠানস্থল থেকে বক্স বাজিয়ে দেওয়া হয় বলে বিজেপির অভিযোগ। শুভেন্দুকে দেখে স্লোগান দিতে থাকেন শাসকদলের কর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা স্লোগান তোলেন বিজেপি নেতা-কর্মীরাও। কিছুক্ষণের মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এমন পরিস্থিতিতে,  তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে হাতজোড় করে প্রণাম জানিয়ে চলে যান শুভেন্দু অধিকারী।


গোটা ঘটনা নিয়ে প্রবল ক্ষোভ জানিয়েছে পদ্মশিবির। কাঁথির বিজেপি নেতা কণিষ্ক পণ্ডার অভিযোগ, 'বারবার বাধা দিয়ে প্রচারকে বিঘ্নিত করা হচ্ছে, কিন্তু এসব করে লাভ হচ্ছে না, মানুষের মনে অধিকারী পরিবার আছে।'


পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূলও। কাঁথি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সুপ্রকাশ গিরির দাবি, 'আমরা তো কাউকে কটাক্ষ করিনি, আমরা অন্যদিকে মমতা ব্যানার্জির স্লোগান দিয়েছি। ওঁদের কেউ বাধা দেয়নি। উনি বহিরাগতদের নিয়ে এলাকায় ঢুকছেন।' 


আগামী রবিবারই ভোট ২১ ওয়ার্ডের কাঁথি পুরসভায়। তার আগে ভোটপ্রচার ঘিরে সরগরম গোটা এলাকা।