বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: গেরুয়া শিবিরের মধ্যেই দ্বন্দ্ব। একদিকে ভারতীয় জনতা মজদুর সেল (BJMC) অন্যদিকে আরএসএস-এর শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ। BJMC-কে বেআইনি বলে দাবি করল RSS’এর শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ। পাল্টা কটাক্ষ ছুড়েছে ভারতীয় জনতা মজদুর সেল।
কী ঘটনা:
বিজেপি সমর্থিত শ্রমিক সংগঠন হিসেবেই পরিচিতি ভারতীয় জনতা মজদুর সেলের। তারই বিরোধিতা করে বসেছে খোদ সঙ্ঘের শ্রমিক সংগঠন। শুধু তাই নয় গোটা ভারতীয় জনতা মজদুর সেলকেই বেআইনি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের মধ্যেই এমন ঘটনায় অস্বস্তিতে কর্মীরাও। ২৭ শে জুন, একটি নির্দেশিকা জারি করে শ্রম দফতর। তাতে বলা হয়েছিল, হলদিয়া, কোলাঘাট, খড়গপুর শিল্পাঞ্চলে কর্মী নিয়োগ থেকে বেতন-চুক্তি সবই দেখবে জেলাশাসকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি। এর বিরোধিতা করে, বৃহস্পতিবার হলদিয়ার (Haldia) বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডলকে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন ভারতীয় জনতা মজদুর সেল বা BJMC’এর রাজ্য সভাপতি অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। ঠিক তারপরেই এই BJMC’এর বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলল RSS’এর শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সংঘ বা BMS।
কার কী দাবি:
ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের রাজ্য সহ-সভাপতি প্রদীপ বিজলি বলেন, 'ভারতীয় জনতা মজদুর সেল বেআইনি। নির্বাচনের আগে একাধিক এই ধরনের সংগঠন গড়ে উঠেছিল। বিজেপির সংবিধানে কোনো শ্রমিক সংগঠন বা ছাত্র সংগঠন নেই। এটা বেআইনি। আসলে শ্রমিক সংগঠন করছে মধু খাওয়ার জন্য।' যদিও ভারতীয় মজদুর সেলের রাজ্য সভাপতি অর্ণব চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বলেছেন, তারা অনুমোদন দিয়েছে। বিজেপির ভাবাদর্শে অনেক ট্রেড ইউনিয়ন বাইরে থেকে তাদের সমর্থন করেছে। আমাদের সংগঠন বিজেপি অনুমোদিত। বিজেপির আইটি, ল’সেলের মতই এটা বিজেপির শ্রমিক সেল।' এমন ঘটনায় সামনে এসেছে বিজেপির মধ্যের দ্বন্দ্ব। যা নিয়ে কটাক্ষ করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে।
তৃণমূলের কটাক্ষ:
তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি (INTTUC)-এর রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এটা আদি আর তৎকাল বিজেপির দ্বন্দ্ব। রাজ্য সরকারের বিরোধিতা সব সময় করতে গিয়ে আজকে নিজেদের মধ্যেই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে গিয়েছে।'
আরও পড়ুন: পায়ে চক নিয়েই শিক্ষাদান, পথ দেখিয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষক