ঋত্বিক প্রধান, এগরা : বারো নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের ফেসবুক পোস্টে দাবি, তিনিই পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান। এদিকে চেয়ারম্যানের দাবি, এখনও ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করাই যায়নি। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা পুরসভায় ভাইস চেয়ারম্যানের পদ ঘিরে জটিলতা। দানা বেঁধেছে বিতর্ক।


একটা ফেসবুক পোস্ট। তাকে কেন্দ্র করে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা পুরসভায় ভাইস চেয়ারম্যানের পদ ঘিরে জটিলতা নতুন মাত্রা পেল। পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর জয়ন্ত সাহু। তাঁর ফেসবুক পেজে দেখা যায়, এক আদিবাসী নেতা ও শিক্ষাব্রতীকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তিনি। আর সেই পোস্টে তৃণমূল কাউন্সিলরের নামের নীচে লেখা উপ পুরপিতা, এগরা বিধানসভা। বিধানসভা এলাকার যেহেতু কোনও ভাইস চেয়ারম্যান হয় না, তাই এগরা পুরসভা ধরে নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। 


১৪ আসনের এগরা পুরসভায় এবার পুরভোটে তৃণমূল ৭টি, বিজেপি ৫টি, কংগ্রেস ১টি এবং নির্দল ১টি আসনে জয়ী হয়। নির্দল প্রার্থীর সমর্থনে এগরা পুরসভা দখল করে তৃণমূল। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন স্বপন নায়েক। পুরসভা সূত্রে খবর, ভোটের ফল প্রকাশের পর আড়াই মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও, ভাইস চেয়ারম্যান ঠিক হয়নি। চেয়ারম্যানের দাবি, ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনের জন্য সব কাউন্সিলরকে নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন তিনি। কিন্তু সিংহভাগই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকায় ভাইস চেয়ারম্যান কে হবেন তা স্থির করা যায়নি। 


এগরা পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন নায়েক বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনের জন্য সব কাউন্সিলরদের ডেকেছিলাম। কিন্তু ১৪ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১২ জনই অনুপস্থিত ছিলেন। তার ফলে ভাইস চেয়ারম্যান ঠিক করা যায়নি। কীভাবে ওই পোস্ট করেছেন জানি না।


এই পরিস্থিতিতে জয়ন্ত সাহুর ফেসবুক পোস্ট নতুন ধোঁয়াশা তৈরি করেছে। এগরা পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর রামচন্দ্র পণ্ডা বলেন, আমাদের নজরে বিষয়টি এসেছে। উনি কীভাবে দাবি করছেন তা জানি না।


মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ প্রতিনিধি ও বিজেপি নেতা আশিস নন্দ বলেন, এগরায় এখনও পুরবোর্ডই তৈরি হল না। সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাচ্ছে না। সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিতেই এই সব পোস্ট করা হচ্ছে।


যাঁকে ঘিরে বিতর্ক সেই জয়ন্ত সাহুর দাবি, দলের সিদ্ধান্ত মেনেই নিজেকে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।