পূর্ব মেদিনীপুর: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ‘প্রতারণা’। মহিষাদলে ৬ মহিলার অ্যাকাউন্ট থেকে খোয়া গেল ৫০০০ টাকা। বিডিও অফিসের কর্মী পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি তাঁদের বাড়িতে যান। নথি সংগ্রহের পাশাপাশি ফর্মে আঙুলের ছাপ নিয়ে নেন ওই ব্যক্তি। এরপরই ৬ মহিলার অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০০০ টাকা করে কেটে নেওয়া হয়। অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ওই যুবক মহিষাদল বিডিও অফিসের কর্মী নন, জানিয়েছেন বিডিও। 


কিছুদিন আগেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম বাছাইতে স্বজনপোষণের আশঙ্কায় দেগঙ্গায় কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিক্ষোভ ছড়ায়। প্রকাশ্যে চলে আসে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। 
অগাস্টের শেষের দিকে পঞ্চায়েত অফিসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম স্ক্রুটিনির কাজ চলছিল। স্বজনপোষণের জেরে নাম বাদ পড়ার আশঙ্কায় তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীদের একাংশ। 


দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধ করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে দেগঙ্গা থানার পুলিশ ও বিডিও ঘটনাস্থলে যান। স্বজনপোষণের আশঙ্কা নস্যাৎ করেছেন তৃণমূল প্রধান। দুয়ারের সরকারের পরে লক্ষ্মীরর ভাণ্ডারের প্রায় কয়েক হাজার আবেদনপত্র জমা পড়ে দেগঙ্গার কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে।


অভিযোগ, এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম নিয়ে স্বজনপোষণ করছে পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান। দাবি ওঠে, তাঁদের মনোনীত ব্যক্তিদের দ্বারা সেই আবেদনপত্রগুলি বাছাই করছিলেন পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যে।  এই খবর পেয়ে কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কর্মীরা দলবল নিয়ে এসে কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে বিক্ষোভ দেখান এবং জীবনপুর বাগজোলা রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।  


উল্লেখ্য, চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে গিয়ে 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার'-এর ফর্ম বিতরণ করা হয় আজ। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ফর্ম নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে গেলেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে গর্ভবতী মহিলাদের হাতে তুলে দেওয়া হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম। শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে বিতরণ করা হল স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের ফর্ম। চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য ও চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার জয়ন্ত বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে ফর্ম বিতরণ করেন চাঁচলের মহকুমা শাসক কল্লোল রায়। তিনি বলেন বেশ কিছু ফর্ম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দেওয়া রয়েছে।


অন্যদিকে একদিনে লাইন ভ্যাকসিনের, অন্যদিকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য নতুন করে অ্যাকাউন্ট খুলতে বিশাল লম্বা লাইন পড়ছে ব্যাঙ্কে ব্যাঙ্কে। এদিকে আবার করোনা বিধি মেনে ব্যাঙ্কের কাজের সময়সীমাও কমেছে। তাই কে আগে অ্যাকাউন্ট খুলবেন, তাই নিয়েই শুরু হচ্ছে দ্বন্দ্ব, বিশৃঙ্খলা। 


এই পরিস্থিতিতে নতুন ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বাড়ছে ব্যাঙ্কের সময়সীমা। বৃহস্পতিবার থেকেই ব্যাঙ্ক খোলা থাকলে পুরো সময়। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অ্যাকাউন্ট খোলার জন্যই ব্যাঙ্কের সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে ব্যাঙ্ক, বুধবারই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।