সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া:  পুরুলিয়ায় জঙ্গলমহল উৎসবে আমন্ত্রণ পত্র ঘিরে বিতর্ক। রাজ্য সরকারের উৎসবে আমন্ত্রণ পত্রে নাম না থাকায় প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন জেলা সভাধিপতি। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী কাজ হয়েছে, দাবি জঙ্গলমহল উৎসব কমিটির সদস্য শান্তিরাম মাহাতোর। এ নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।


রাজ্য সরকারের উদ্যোগে পুরুলিয়ায় চলছে জঙ্গলমহল উৎসব। সোমবার থেকে পুরুলিয়ার বলরামপুরের কলেজ ময়দানে তা শুরু হয়েছে। সেখানে তিনদিনই অনুপস্থিত থাকলেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও জেলা পরিষদের অধিকাংশ সদস্য।


জেলা পরিষদের সভাধিপতি অভিযোগ, আমন্ত্রণ পত্রে অন্যান্য ৫ জেলা পরিষদের সভাধিপতির নাম থাকলেও, তাঁর নাম দেওয়া হয়নি। এনিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।


তৃণমূল নেতা ও পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আমন্ত্রণ পত্রে অন্যান্য জেলা সভাধিপতির নাম থাকলেও পুরুলিয়ার জেলা পরিষদ সভাধিপতির নাম দেওয়া হয়নি । তাই এই উৎসবে অনুপস্থিত থাকলাম।


তৃণমূল নেতা ও জঙ্গলমহল উৎসব কমিটির সদস্য শান্তিরাম মাহাতো অবশ্য দাবি করেছেন, ওনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সরকারি অনুষ্ঠান যেভাবে সরকার নির্দেশ দিয়েছে সেভাবে হয়েছে।


এনিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির।পুরুলিয়া শহর বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সত্যজিৎ অধিকারী বলেছেন,  এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে প্রকাশ্যে আসছে তা পরিষ্কার । মানুষ বিষয়টি ভালো ভাবে নেবে না ।


সব মিলিয়ে জঙ্গলমহল উৎসবের শেষদিনে আমন্ত্রণ পত্র-বিতর্কে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।


উল্লেখ্য, এর আগে মালদা তৃণমূলে ফের আমন্ত্রণ বিতর্ক দেখা দেয়। ইংরেজবাজার পুরসভার নির্বাচন নিয়ে সোমবার তৃণমূলের রণকৌশল বৈঠক হয়। জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী থেকে শুরু করে মোথাবাড়ির বিধায়ক ও সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন সহ একাধিক শীর্ষ নেতানেত্রী ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সেখানে দেখা গেল না প্রাক্তন মন্ত্রী ও ইংরেজবাজার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে। যিনি বর্তমানে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।তৃণমূল জেলা সভাপতির দাবি, আমন্ত্রণ জানানো হলেও অসুস্থতার কারণে বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ। জেলা সভাপতির এই দাবি উড়িয়ে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর অভিযোগ, তাঁকে দলের তরফে বৈঠকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি।


এর আগেও মালদায় দলীয় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোর অভিযোগ তুলে আলাদা ভাবে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান পালন করতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের দুই শিবিরকে। যার একদিকে ছিলেন জেলা সভাপতি ও সেচ প্রতিমন্ত্রী। আরেক দিকে ছিলেন কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী ও তৃণমূল সাংসদ মৌসম বেনজির নূর।