সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: লক্ষাধিক টাকারও বেশি বিদ্যুৎবিল বকেয়া রয়েগিয়েছে পুরুলিয়া শহরের অন্যতম পর্যটন স্থল সাহেব বাঁধ শিকারা পয়েন্টের। আর তাই সম্প্রতি শিকারা পয়েন্টের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করল বিদ্যুৎ দফতর। ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পুরুলিয়া পৌরসভা। ২০১৮ সালে ধুমধাম করেই শিকারা পয়েন্টের উদ্বোধন করেছিল পুরুলিয়া পৌরসভা। এই স্থানটি দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল একটি বেসরকারি সংস্থাকে।


এর পর থেকেই পুরুলিয়া শহরের পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছিল এই শিকারা পয়েন্ট। জেলা ছাড়িয়ে ভিন রাজ্য থেকে পর্যটকরা আসেন। ভিড় থাকে বছরভর। শীতকালে বাড়ে পর্যটকদের আনাগোনায়। এই মরসুমে শিকারা বিহার থেকে শুরু করে মনোরম পরিবেশ উপভোগ করে থাকেন সাধারণ মানুষ।


তবে এবছর বিপত্তি। ভরা মরসুমেই এই শিকারা পয়েন্টের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় ভাটা পড়তে শুরু করেছে পর্যটন ব্যবসায় । ক্ষতির মুখে শিকারা পয়েন্টের দায়িত্বে থাকা সংস্থা। বিষয়টিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি নেতৃত্ব। শহরের অন্যতম পর্যটনস্থলের বিদ্যুৎ বাকি কেন সেই প্রশ্ন উঠছেই। অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে এই পর্যটনস্থল। আগামীদিনে আবার কবে শিকারা পয়েন্টে বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরত আসে এখন সেটাই দেখার।


অন্যদিকে মালদায় তৃণমূল (TMC) পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের (Gram Panchayet) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। উন্নয়নমূলক কাজ না করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত প্রধান উপপ্রধান সহ অন্যান্য পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরুদ্ধে। মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর দু'নম্বর ব্লকের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। ঘটনায় বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর। 


হরিশ্চন্দ্রপুর দু নম্বর ব্লকের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে উন্নয়নমূলক কাজ না করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুললেন গ্রামবাসীদের একাংশ। স্থানীয় বাসিন্দা আকতার আলমের অভিযোগ রাস্তা সংস্কার, রাস্তার পাশে বাসের গার্ডওয়াল নির্মাণ-সহ একাধিক প্রকল্পে প্রায় ৫০লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু কোথাও কাজ করাই হয়নি। আবার কোথাও অর্ধেকেরও কম কাজ করে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। টাকা আত্মসাৎ করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান উপপ্রধান সহ অন্যান্যরা।'