সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: ফের দাঁতাল হাতির দাপাদাপিতে চাঞ্চল্য ছড়াল পুরুলিয়ার ঝালদাতে। শহর লাগোয়া গ্রামে ঢুকে পড়লো একটি দল ছুট হাতি। সোমবার সন্ধ্যার সময় জঙ্গল থেকে ঝালদা থানা এলাকার পাটঝালদা গ্রামে ঢুকে পড়ে এই দাঁতালটি। বন বিভাগের কর্মীরা তাঁকে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়। 


এরপর দাঁতালটি ঝালদা লাগোয়া দারদা গ্রামের মধ্যেও ঢুকে পড়ে। হাতির ভয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পরে যায়। আতঙ্ক সৃষ্টি হয় গোটা গ্রামে। যদিও এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকার প্রাণী নয় গজরাজ। হাতিটি এক গ্রামের ভেতর দিয়ে ঢুকে গ্রামের অন্য প্রান্ত দিয়ে বেরিয়ে যায়। বনদফতরের কর্মীদের আশঙ্কা ঝালদা শহরের লাগোয়া এই দারদা গ্রাম হওয়ায় হাতিটি যেকোনও সময় ঝালদা শহরে চলে আসতে পারে। 


এই আশঙ্কা থেকে ঝালদা থানার পুলিশ ও বন দফতরের কর্মীরা শহরবাসীকে ঘর থেকে না বেরোনোর কথা জানিয়েছেন। হাতির আতঙ্কে শহর ঝালদায় দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই খবর আসে হাতিটি ঝালদা থানা এলাকার পাটঝালদার গ্রাম হয়ে কোটশীলা থানার লুপুংডির দিকে চলে যায়।


বনদফতরের কর্মীরা জানিয়েছে, এই মুহূর্তে হাতিটি ঝালদা ২নম্বর ব্লকের ঝাড়খণ্ড লাগোয়া সিমনী জাবর জঙ্গলে অবস্থান করছে। বন বিভাগের কর্মীরা হাতিটিকে ঝাড়খন্ডের দিকে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।


অন্যদিকে, ৬ দিন পর অবশেষে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে রয়্যাল বেঙ্গলকে কাবু করা সম্ভব হল।  বন দফতর সূত্রে খবর, কুলতুলির ডোঙাজোড়ায় শেখপাড়ার জঙ্গলে বাঘকে কাবু করার জন্য ২টি ঘুম পাড়ানি গুলি ছোড়া হয়। একটি গুলি লাগে কাঁধে, অন্যটি পায়ের নীচে।  এরপর বাঘটি নিস্তেজ হয়ে পড়ে। বাঘটিকে প্রথমে খাঁচাবন্দি করা হয়। তারপর সেই খাঁচা নিয়ে আসা হয় লঞ্চে।  সেখানেই বন দফতরের চিকিত্‍সক বাঘটিকে পরীক্ষা করছেন।  রয়্যাল বেঙ্গল সুস্থ থাকলে তাকে জঙ্গলে ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে বন দফতরের।  



তবে বাঘকে কাবু করতে এর আগে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি। রাতভর জঙ্গলে ট্রাঙ্কুলাইজার নিয়ে বনকর্মীরা অভিযান চালান। তারপর আজ সকালে পিয়ালি নদী থেকে দমকলকর্মীরা প্রথম জল স্প্রে করে বাঘকে সরানোর চেষ্টা করেন। তারপর জঙ্গলে ছোড়া হয় লঙ্কা বোমা।  এতকিছুর পর অবশেষে ঘুম পাড়ানি গুলিতে বাগে এল বাঘ।