সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়াঃ পুজোর মধ্যেই বৃষ্টির ঘনঘটা শুরু হয়ে গিয়েছে। অন্যথা নেই পুরুলিয়াতেও। এখানে জেলা জুড়ে সকাল থেকে নবমীর দিন মুসলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। রাস্তায় লোক জনের সংখ্যা অনেক কম। পূজো উদ্যোক্তা থেকে দর্শনার্থীদের মন খারাপ। আর মাত্র পূজার একদিন তাই এই অকাল বৃষ্টিতে সবারই মন খারাপ। রাজ্যের অন্যান্য জায়গাতেও বৃষ্টি হচ্ছে।


নবমীর সকাল থেকে আকাশে মেঘ-রোদের লুকোচুরি। আজ কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। ইতিমধ্যেই কোনও কোনও জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছাতা মাথায়, রেনকোট চাপিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছেন অনেকেই। 


বাংলা থেকে বর্ষা বিদায় নিলেও, উত্তর আন্দামান সাগরে ঘূর্ণাবর্তের ফলে চোখ রাঙাচ্ছে নিম্নচাপ। তার জেরে আজ ও কাল দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। আজ কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টি বেশি হবে। কাল দশমীতে দিনভর মেঘলা আকাশ, দফায় দফায় বৃষ্টির সম্ভাবনা। 


শনিবার থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। রবিবার দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস। ভারী বৃষ্টির সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। শনিবার থেকে উত্তরবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। 


আজ নবমী। হোমাগ্নিতে দেবীর স্তুতি। বনেদি বাড়িতে প্রথা মেনে নবমীর বিশেষ পুজো। কোথাও হোম, কোথাও ফল বলি। পুজো শুরুর সময় যেমন সঙ্কল্প, তেমনই পুজো শেষের প্রক্রিয়া দক্ষিণান্ত। নানা উপাচারে দেবীর আরাধনা। নবমীতেও কুমারী পুজো হয়। এরই মাঝে বাঙালির প্রাণের উত্সবে বিষাদের সুর। কাতর প্রার্থনা, না পোহায় যেন নবমী নিশি৷ করোনা-উদ্বেগকে পিছনে ফেলে এবার মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় করেছে মানুষ।


প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে চলেছে দল বেঁধে ঠাকুর দেখা। এরই মাঝে প্রতিবারের মতো মাকে আরও কিছুদিন রেখে দেওয়ার বাসনা নিয়েই বিসর্জনের প্রহর গোনা শুরু। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আন্দামান সাগরের উপর ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর ধীরে ধীরে সেটি ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলের দিকে যাবে।