উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, পুরুলিয়া: এর আগে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ের দেওয়ার নামে টাকা চাওয়ার অভিযোগ একাধিকবার উঠেছে। সোমবার পুরুলিয়ায় (Purulia) প্রশাসনিক সভায় এই প্রথম অভিযোগকারীকে নিয়ে সটান মঞ্চে নিয়ে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Cheif Minister)! তারপর কী হল?


অভিযোগকারীকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য


সরকারি প্রকল্পের সুবিধে পাইয়ে দেওয়ার নামে গরীব মানুষদের কতটা ভোগান্তি পোহাতে হয়, তা এর আগেও দেখা গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন মঞ্চ থেকেই রাজেন হেমব্রম নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ঘটা এমন ঘটনার উদাহরণ টেনে আনেন। তিনি বলেন, ''রাজেনের বাবা মারা গেছে 2০১১ সালে। জমি নিজের নামে করতে BLRO অফিসে গেলে সেখানে তাঁকে বলা হয় যে পড়চা বের করতে হবে। পড়চার প্রতি কপি বের করতে দালাল নিল ১০০ টাকা  করে। BLRO অফিসের উল্টো দিকের দোকান মিউটেশন করতে নিল দেড় হাজার টাকা। তাঁর ফোন নম্বরও দিয়ে দিয়েছে। আমি যে কথাটা বললাম, সেটা মিথ্যা না সত্য?'' সেই সভায় উপস্থিত রাজেন হেমব্রম নিজেও মেনে নেন যে তাঁকে এভাবেই ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।


এরপরই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন যে, ''এরপর কিন্তু যদি এই পরিবারগুলোর ওপর কোনওরকম কেউ গিয়ে ধমকায় চমকায় আমি কিন্তু তাঁকে প্রথমেই গ্রেফতার করে ঢুকিয়ে দেব। সে যেই হোক না কেন।''


ক্ষোভ উগড়ে দেন মমতা


ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরেই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এছাড়াও একাধিক প্রকল্প আটকে থাকায় অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী। গোটা পুরুলিয়া জুড়ে একাধিক সরকারি প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও, তা সময়ে শেষ হয়নি! এই প্রসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ত্‍সনার মুখে পড়েন জেলাশাসক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'তোমাদের জেলায় কত প্রোজেক্ট পেন্ডিং আছে? তোমরা চটপট উত্তর দিয়ে দাও। ইট ইজ আন্ডার প্রোসেস। মানে যেগুলো করোনা বা ফেলে রেখে দাও, দিনের পর দিন। তোমরা বলে দাও ইট ইজ আন্ডার প্রোসেস। প্রেজেন্ট স্টেটাস কি? সেটা কি? খায় না মাথায় দেয়?'


আরও পড়ুন: 'কিছু বললেই মানহানি হবে, এতটা ঠুনকো নয় বিচারব্যবস্থা', বলল হাইকোর্ট