সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: পুরুলিয়ার (Purulia) জাতীয় সরোবর, সাহেব বাঁধের (Saheb Bandh) রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত ফাইল লোপাটের অভিযোগ। প্রতিবাদে, পুরসভার (Municipality) গেটের সামনে গতকাল বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি (BJP)। ফাইল লোপাট হয়নি, খুঁজলেই পাওয়া যাবে। দাবি করেছেন তৃণমূলের (TMC) স্থানীয় ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর।
ছবির মতো সুন্দর পুরুলিয়ার সাহেববাঁধ। শীত পড়লেই ভিড় করে পরিযায়ী পাখির দল। জাতীয় সরোবরের তকমাও রয়েছে এর মুকুটে। তেমনটাই বলছে সাহেববাঁধের গা ঘেঁষে থাকা ফলক। এবার সেই জাতীয় সরোবরের রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত ফাইল লোপাটের অভিযোগ উঠল। যা নিয়ে পুরভোটের মুখে তপ্ত পুরুলিয়ার রাজনীতি।
ব্রিটিশ শাসিত মানভূমে তৈরি হওয়া এই বিশাল জলাশয়, সাহেববাঁধের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে পুরুলিয়া পুরসভা। মেয়াদ শেষের আগে পর্যন্ত, সেখানে ক্ষমতায় ছিল তৃণমূল। এখনও প্রশাসক পদে আছেন তৃণমূল নেতা নবেন্দু মাহালি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, পুরসভাতেই হদিশ নেই ফাইলটির। প্রতিবাদে, পুরসভার গেটের সামনে গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে বিক্ষোভে সামিল হন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। পুর-প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপিও জমা দেন তাঁরা।
অন্যদিকে নবেন্দু মাহালির অভিযোগ, প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর জাতীয় সরোবর সংক্রান্ত কোনও ফাইলই তিনি পাননি। তাঁর কথায়, “আমারও প্রশ্ন, আমি ভূমিপুত্র, যেখানে ফলক দেখছি সেখানে ফাইল নেই কেন? আমি বসার পর কোনও ফাইল পাইনি যদি ফাইল পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে ওনারাই এনে দিন ওনারাই তো কেন্দ্রে ক্ষমতায় আছেন। ওনাদের কাছে তো ফাইলের কপি থাকবে। ওদের কো-অর্ডিনেটর আছে আমাদের পুরসভায়। বিজেপির কাছে ইস্যু নেই তাই ঘোলা জলে মাছ ধরতে এসেছে।’’
জাতীয় সরোবরের তকমা পাওয়ার পর, সাহেববাঁধের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কেন্দ্রের তরফে কত টাকা এসেছে? কত টাকাই বা খরচ হয়েছে? ফাইল উধাওয়ের অভিযোগ ওঠায় জোরাল হচ্ছে এই প্রশ্নগুলি। ২০১০ সালে সাহেববাঁধ জাতীয় সরোবরের তকমা পাওয়ার সময় পুরুলিয়া পুরসভা ছিল কংগ্রেসের দখলে। তৎকালীন কংগ্রেস কাউন্সিলর ও বর্তমানে তৃণমূলের ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরের বিভাসরঞ্জন দাশের দাবি, “২০০৮-১০-এ যখন কংগ্রেসের বোর্ড ছিল তখন আমি কাউন্সিলর ছিলাম। ওই পাইলে সই করি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছিলেন। ঠিকমতো খুঁজলে পাওয়া যাবে।’’
আরও পড়ুন: North 24 Parganas: তুঙ্গে প্রস্তুতি, আগামী শিক্ষাবর্ষেই চালু হবে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ