হংসরাজ সিংহ, হুড়া : আবেগ তো রয়েছেই, তার সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা। প্রশাসন এহেন গুরুত্বপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশ কাটার অনুমতি দেওয়ায় পথে নামলেন এলাকাবাসী। পুরুলিয়া (Purulia) জেলার হুড়া ব্লকের (Hura Block) অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী তিলাবনি পাহাড়কে 'বাঁচানোর' লক্ষ্যে আন্দোলন শুরু স্থানীয়দের। তিলাবনি, পড়াশিবনা, লেদাবনা, মাধবপুর গ্রামের বাসিন্দারা- পাহাড় বাঁচাও গণ আন্দোলন কমিটি গড়ে প্রতিবাদে নেমেছেন। আন্দোলনে পা মিলিয়েছেন শয়ে শয়ে গ্রামবাসী।


আন্দোলনকারীদের দাবি, তিলাবনি পাহাড়ের সঙ্গে তাঁদের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। পাহাড়ে রয়েছে তাঁদের দেবতা। রয়েছে নানান রকমের বহুমূল্য গাছ-গাছড়া ‌। পাহাড়কে কেন্দ্র করে হাজার হাজার মানুষের জীবন-জীবিকাও চলে। পাহাড়ের সৌন্দর্যের কারণে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকদের পাশাপাশি ছুটে আসেন শতাধিক রক ক্লাইম্বিং ও প্রাকৃতিক পাঠের দল। এহেন পাহাড় কেটে দিলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে। তাই কোনও ভাবেই শিল্পের নামে এই পাহাড়কে 'বিক্রি' করা যাবে না।


আরও পড়ুন ; নর্দমায় পরিণত নদী, সংস্কারের মাঠে নামল আসানসোল পুরসভা


এনিয়ে হুড়ার ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক ধ্রুবাঙ্কুর ঠাকুর বলেন, নিয়ম মেনে শিল্পায়নের স্বার্থে একটি বেসরকারি সংস্থাকে পাহাড়ের পাদদেশে পাথর কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে গ্রামবাসীর ধর্মীয় আবেগকে মাথায় রেখেই কাজ হবে। দ্রুত আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যার সমাধান করা হবে।


প্রসঙ্গত, নর্দমায় পরিণত হওয়া আসানসোলের গাড়ুই নদী নিয়েও দিনকেয়ক আগে কম শোরগোল হয়নি। কার্যত নর্দমায় পরিণত হওয়া এই নদীর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন মেয়র বিধান উপাধ্যায়। আসানসোলবাসীকে বর্ষার জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে গাড়ুই নদী সংস্কারের আশ্বাস দেন তিনি।


দেখে মনে হবে, বড় কোনও নালা। আসলে এ হল নদী। পশ্চিম বর্ধমান জেলার উত্তর আসানসোল এলাকা দিয়ে বয়ে গিয়েছে এই গাড়ুই নদী, বুজতে বুজতে যা এখন কার্যত নালায় পরিণত হতে চলেছে। যা অবস্থা, তাতে একে খালও বলা যায় না এখন! ক্ষয়িষ্ণু সেই নদী ঘুরে দেখেন আসানসোল পুরসভার নতুন মেয়র। এবার পুরভোটে আসানসোলে তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তেহারের প্রথমেই ছিল গাড়ুই নদী সংস্কারের কথা। কারণ শিল্পশহরের এই গাড়ুই নদীই হল জলনিকাশি ব্যবস্থা সচল রাখার লাইফ লাইন।  অথচ সেই নদীই এখন অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছে।