কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: ইস্তেহারে ঘোষিত গাড়ুই নদী সংস্কারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত করতে মাঠে নেমে পড়ল আসানসোল পুরসভা। কার্যত নর্দমায় পরিণত হওয়া নদীর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন মেয়র বিধান উপাধ্যায়। আসানসোলবাসীকে বর্ষার জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে গাড়ুই নদী সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। বিজেপির দাবি, পুরোটাই নাটক। 


দেখে মনে হবে, বড় কোনও নালা। আসলে এ হল নদী। পশ্চিম বর্ধমান জেলার উত্তর আসানসোল এলাকা দিয়ে বয়ে গিয়েছে এই গাড়ুই নদী, বুজতে বুজতে যা এখন কার্যত নালায় পরিণত হতে চলেছে। যা অবস্থা, তাতে একে খালও বলা যায় না এখন! 


শুক্রবার সেই ক্ষয়িষ্ণু নদী ঘুরে দেখেন আসানসোল পুরসভার নতুন মেয়র বিধান উপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন দুই ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক ও ওয়াসিমুল হক। তাঁদের সঙ্গে নদী এলাকা পরিদর্শন করেন আসানসোল পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা। 


এবার পুরভোটে আসানসোলে তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তেহারের প্রথমেই ছিল গাড়ুই নদী সংস্কারের কথা। কারণ শিল্পশহরের এই গাড়ুই নদীই হল জলনিকাশি ব্যবস্থা সচল রাখার লাইফ লাইন।  অথচ সেই নদীই এখন অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছে। 


অভিযোগ নদীপাড় দখল করে চলছে একের পর এক বসতি স্থাপন। সেই সঙ্গে নদী এলাকায় গড়ে উঠছে অবৈধ নির্মাণ। 


আসানসোল, কল্যাণপুরের বাসিন্দা অনিমেষ দাসের কথায়, দুপাশে জবরদখল হবার কারনেই এলাকায় বন্যা হয়েছে। আশপাশের আবাসন থেকে যাবতীয় বর্জ্য এসে মিশছে নদীর জলে। 


গত বছর বর্ষায় অল্প বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয় আসানসোলের বিস্তীর্ণ এলাকা। তার কারণ হিসেবে গাড়ুই নদীর এই দুরবস্থাকেই দায়ী করা হয়। পুরভোটে আসানসোলে ক্ষমতা ধরে রাখার পর এবার নদী সংস্কারে জোর দিচ্ছে তৃণমূলের বোর্ড। 


আসানসোল পুরসভার মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের কথায়, নদীর বেশ কিছু অংশ সংকীর্ণ হয়ে গেছে। দেখা হবে নদীর জমি কতটা। সেটা যদি দখল হয়ে থাকে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেভাবেই হোক আসানসোলবাসীকে বর্ষার জলকষ্ট থেকে মুক্তি দেওয়াই হচ্ছে লক্ষ্য।


জবরদখল আর ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির শেকল কেটে নদী সংস্কার কতটা হয় সেটাই এখন দেখার।