সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের দিন রাজ্যের কারা বিভাগ সমগ্র রাজ্য জুড়ে ৯৯ জন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে মুক্তির স্বাদ দিচ্ছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগার থেকে এই সাজাপ্রাপ্ত বন্দিরা সাজা শেষ হওয়ার আগেই আজ স্বাধীনতার ৭৫ বছর বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে মুক্তি পেলেন।


এই ৯৯ জন সাজাপ্রাপ্ত বন্দির  মধ্যে মহিলা রয়েছেন ৫জন। এই সাজাপ্রাপ্ত বন্দিরা কোনো না কোনো অপরাধমূলক ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজা পেয়েছেন। সাজা পাওয়ার পর থেকেই তারা সংশোধনাগারে রয়েছেন। সেখানেই তাদের জীবনকে তারা 'সংশোধন' করেছেন । সেই তথ্য সংশোধনাগার থেকে কারা বিভাগে যাওয়ার পর রাজ্য সরকার খুশি হয়ে ওই  ৯৯ জন সাজা প্রাপ্তকে মুক্তির স্বাদ দিলো।এই ৯৯ জনের মধ্যে  পুরুলিয়ায় রয়েছে ২'জন । তারা পুরুলিয়া জেলা সংশোধনাগারে রয়েছেন। তারা ২ভাই।আবাসিক আনন্দ মর্দনা ও বিনোদ মর্দনা। তাদের বাড়ি কেন্দা  থানার হরিহরপুর গ্রামে।


২০১৭ সালের ৪ জুন গ্রাম্য বিবাদকে কেন্দ্র করে মারপিটের ঘটনা ঘটে। সেই মামলায় পুরুলিয়া জেলা আদালত তাদেরকে ৭ বছর  কারাদণ্ডের  আদেশ দেয় । কিন্তু তারা সংশোধনাগারে নিজেদের জীবনকে 'সংশোধন' করায় ৫ বছর  ২মাস পর্যন্ত কারাবাস পূর্ণ-র পরেই বাকি কারাবাস থেকে মুকুব করে  মূলস্রোতে ফিরিয়ে  দিচ্ছে রাজ্য।এই সাজাপ্রাপ্ত ২ভাইয়ের মুক্তির দিন সেইসঙ্গে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে পুরুলিয়া সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ । ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিভাগের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু।


আরও পড়ুন, 'আমারও তো লাগে ভয়, কে এবার জেলে যাবে, কে বাইরে রয় ?' কবিতায় কটাক্ষ শুভেন্দু-র


পুরুলিয়া জেলা সংশোধনাগারের সুপারিনটেনডেন্ট স্বপনকুমার দাস বলেন, 'ওই ২ সাজাপ্রাপ্ত ভাইয়ের মুক্তি পেলো আজ, স্বাধীনতা দিবসের সকালে।তাদের হাতে আমরা শংসাপত্র তুলে দিয়েছি। একদিকে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান এবং সেই দিনই তাদের মুক্তি। এই দুটি বিষয়কে ঘিরে একটি অনুষ্ঠান হয়।' ওই ২ সাজাপ্রাপ্ত বন্দির মুক্তিতে ভীষণ খুশি। স্বাধীনতা দিবসের  সকালে টুইট করে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি টুইটে লিখেছেন, 'স্বাধীনতার ৭৫ বছর ! আজ আমরা আমাদের পূর্ব পুরুষদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধা জানাই, যার দেশের স্বাধীনতা এনেছিলেন। ভারতবাসীকে অবশ্যই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং অধিকারের মর্যাদার খেয়াল রাখতে হবে।'