কলকাতাঃ স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগের মুহূর্তে বেহালায় গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া এক নেতার উদ্দেশ্য আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সম্প্রতি  'মীরজাফর' বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। এবার পাল্টা একটি কবিতা টুইটারে আপলোড করে নাম না করেই আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ছড়ার প্রথমেই 'কেষ্ট' বলে অনুব্রত মণ্ডল সদ্য সিবিআই দ্বারা গ্রেফতার হওয়া বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

Continues below advertisement


  'আমারও তো লাগে ভয়, কে এবার জেলে যাবে, কে বাইরে রয় ?' 


শুভেন্দুর শেয়ার করা ওই কবিতার শুরুতেই  লেখা, 'চোরে চোরে মাসতুতো ভাই, কেষ্ট দিদি-র প্রিয় তাই।' এখানেই শেষ নয়, কবিতার মাঝামাঝি এসে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, 'আমারও তো লাগে ভয়, কে এবার জেলে যাবে, কে বাইরে রয় ?'প্রসঙ্গত, বাইশ সালে দাঁড়িয়ে ঘটে গিয়েছে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দু-দুটি বড় ঘটনা বাংলার বুকে। এক এসএসসি দুর্নীতি নিয়োগ মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতার। যেখানে পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে বিপুল নগত টাকা, সোনা উদ্ধার হয়েছে। দ্বিতীয় ঘটনাটি হল গরুপাচার পাচার মামলায় বীরভূমের হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতার। দুজনকেই গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একদিকে নেত্রীর উপর ভরসা রাখলেও নাম না করে,' অভিযোগ প্রমাণ হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হোক', বলেছেন মুখমন্ত্রী। পার্থ চট্টোপাধ্যায় কারো সাপোর্ট না পেলেও, অনুব্রত গ্রেফতারের পর পরেই মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।






'কোনওদিন আবার না নোটিশ পাঠায় আমার ঘরে'


কবিতার শেষের অংশে  লেখা, 'কোনওদিন আবার না নোটিশ পাঠায় আমার ঘরে।' মূলত কয়লা পাচার মামলায় এযাবৎকালে একাধিকবার দিল্লি থেকে তলব করা হয়েছে অভিষেক-সহ তার স্ত্রী রুজিরাকেও। তবে বেশিরভাগ তলবই উপেক্ষা করেছেন অভিষেক। বাচ্চা ছোট বলে যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন রুজিরাও। তবে এর পাশাপাশি কলকাতার অফিসে কেন তলব নয়, কেন বারবার দিল্লিতে ডেকে হেনস্থা করা হচ্ছে, এনিয়ে অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন অভিষেক। কোর্ট অর্ডার দেয় কলকাতার অফিসেই যেন ডাকা হয় অভিষেককে। তবে তারপরেও ফের নির্দেশ লঙ্ঘনে অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের যুবরাজ। এখন কথা হচ্ছে, এতদিন শুধু  সারদা, আইকোর, গরুপাচার, এসএসসি মামলায় তলব এবং নাম জড়িয়েই থেমে ছিল, তবে গ্রেফতার হয়ে জেলে রাত্রিবাস করতে হয়নি বাংলার তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের। ব্যাতিক্রম নারদা মামলা। তবে বিশেষ করে পার্থ-অনুব্রত গ্রেফতার পর স্টোথোস্কোপ ছাড়াই কি এবার বুকধুকপুক শুনতে পাচ্ছেন শুভেন্দুরা, কবিতার পর আরও এক স্ট্যান্ডআপ বিজেপির লাইব্রেরিতে।