সন্দীপ সমাদ্দার ও হংসরাজ সিংহ, পুরুলিয়া: তপন কান্দু হত্যা মামলায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য। তপন কান্দু হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল থেকেছে। বিষয়টি নিয়ে এবার রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে, এমনই আশঙ্কা করা হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির তরফে। তাই সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিলের আবেদন জানালেন নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের স্ত্রী।
ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর হত্যা মামলায় সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রেখেছে আদালত।
সম্প্রতি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, 'কলকাতা হাইকোর্টে সরকারি কোষাগারের টাকা খরচ করে ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনিদের বাঁচানোর চেষ্টা সফল হল না! দিদির সরকার সুপ্রিম কোর্ট যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্লজ্জ সরকারের কুৎসিত মানসিকতা বাংলার মানুষ দেখছে।' এই আশঙ্কার পরই, সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিলের আবেদন জানালেন নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের স্ত্রী। তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু বলেন, 'এই খুনের পিছনে তৃণমূলের নেতারাও জড়িত রয়েছে। তাই তৃণমূল সরকার ভয় পাচ্ছে, তাই তারা সিবিআই যাতে তদন্ত না করে তার জন্য সুপ্রিম কোর্টে যেতে চাইছে । সিবিআই তদন্তের উপর আমদের পূর্ণ ভরসা আছে । দোষীরা ধরা পড়বেই, আমরা বিচারও পাবো । আমি চাই দোষীরা ফাঁসির সাজা পাক।'
কবে কী হয়েছে:
১৩ মার্চ, পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে। প্রথম থেকেই দলীয় কাউন্সিলর খুনে সিবিআই তদন্তের দাবি করছিল কংগ্রেস। সেই মতো কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। কংগ্রেসের করা মামলায়, এপ্রিলে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চ। এর বিরোধিতা করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। সোমবার সেই মামলায় রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে। প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে বলে, তপন কান্দু হত্যা মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল থাকবে। পাশাপাশি, মামলার প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রেও বহাল থাকবে সিঙ্গল বেঞ্চের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ।
পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেসের সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেন, 'এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে কী এমন রহস্য রয়েছে যেটিকে আটকানোর জন্য রাজ্য সরকার উঠে পড়ে লেগেছে। কলকাতা উচ্চ আদালত যেখানে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছে সেক্ষেত্রে সরকারি টাকা খরচ করে সুপ্রিম কোর্টে কেন যেতে চাইছে রাজ্য সরকার। তাই ক্যাভিয়েটের আবেদন।'
আরও পড়ুন: রেকি করেই শাহ দম্পতির বাড়িতে হানা আততায়ীদের, সিসিটিভি ফুটেজে সন্দেহজনক গতিবিধি!