কলকাতা: যে ছবি দেখা গিয়েছিল লালবাজার অভিযানের সময়, সেই ছবি ফিরল স্বাস্থ্যভবনের (Swathbhawn) সামনে। আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল সাধারণ মানুষ। কেউ নিয়ে এসেছেন জল, কেউ চা, কেউ এনেছেন শুকনো খাবার বা ফল। তাতেই জমেছে পাহাড়। এখন আর খাবার পাঠাবেন না, অনুরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা। বলছেন, কেউ চাইলে খেয়ে যেতে পারেন।
চিকিৎসকদের দিকে সাহায্যের হাত: অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলোর জন্য অপেক্ষা। নতুন ভোরের অপেক্ষায় রাতের পর রাজ জাগা। সময় যত গড়াচ্ছে ততই তীব্র হচ্ছে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন। আন্দোলন যত তীব্র হচ্ছে, ততই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে সাধারণের স্বর। ফিয়ার্স লেনের ছবি ফিরল স্বাস্থ্য ভবনের সামনে। সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়ায় অন্য মাত্রা পেল চিকিৎসকদের রাতজাগা আন্দোলন। জুনিয়র ডক্টর্স ফোরামের পাশাপাশি চিকিৎসকদের জন্য রাতের খাবারের ব্যবস্থা করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। আনা হয় খিচুড়ি, আলুর দম। রাতজাগা জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়াতে কাজের শেষে নতুন কাজে নেমে পড়েন ফুড ডেলিভারি বয়দের একাংশ। চাঁদা তুলে আন্দোলনকারীদের জন্য ব্যবস্থা করেন শুকনো খাবার ও জলের। তরুণ থেকে ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ, একে একে পাশে এসে দাঁড়ান অনেকেই।
বুধবার কাকভোরে গরম চা আর বিস্কুট নিয়ে পৌঁছন বিরাটির বাসিন্দা তনুজা কুণ্ডু। যাদবপুরের দেবশ্রী নন্দীর সঙ্গে বেড়ানোর সূত্রে আলাপ গড়িয়ার রুমা দত্তর। দুই গৃহবধূ নিয়ে আসেন ওআরএস আর জল। যাদবপুরের বাসিন্দা দেবশ্রী নন্দী বলেন, "আমরা কিছু ওআরএস, জলের বোতল কিনেছিলাম কালকে রাতে। কিন্তু নিরাপদ বোধ করিনি যে, একা আসব, দিয়ে বাড়ি ফিরে যাব। দিদিও বেরোতে পারবে না, অনেক দূরে। ওইজন্য আজ ভোরবেলা বেরিয়েছি দু'জনে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বেরিয়ে দু'জনে এসেছি।'' শেষে পরিস্থিতি এমন হয় যে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা ঘোষণা করতে বাধ্য় হন, যে আর খাবার দরকার নেই। আবেগ-ভালবাসা-পাশে থাকা, এভাবেই সাধারণ মানুষ বুঝিয়ে দিলেন চিকিৎসকদের এই লড়াইয়ে তাঁরাও আছেন সমানভাবে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: West Midnapore: কয়েক দফায় হাজার হাজার টাকা সাফ, এবার সাপের খেলা দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগ