কলকাতা : কেন তড়িঘড়ি হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ বের করা? কেনই বা দ্রুত সৎকার? আর জি করকাণ্ডে বারবার এই প্রশ্নগুলো উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে, এবিপি আনন্দে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন শবদেহবাহী গাড়ির চালক, যা শুনে পুলিশের অতি-তৎপরতার যে অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকরা, তাতেই সিলমোহর পড়বে। শববাহী গাড়ির চালক বলেন, সেদিনের গাড়ি ঠিক করা থেকে, ভাড়া মেটানো, সংশ্লিষ্ট সব আয়োজন করেছিল পুলিশই। আর পুরো বিষয়টাতেই ছিল নজিরবিহীন তাড়াহুড়ো।
কেন নির্যাতিতার দেহের ময়নাতদন্ত জরুরি ভিত্তিতে সূর্যাস্তের পর করিয়েছিল পুলিশ, কেনই বা জোর করে তাড়া দিয়ে সৎকার করানো হয়েছিস, এই সব প্রশ্ন উঠেই চলেছে। নির্যাতিতার মা-বাবা থেকে বিশেষ বন্ধু , সবাই এই বিষয়টা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এবার শববাহী গাড়ির চালকের বয়ানেও উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
শববাহী গাড়ির চালক অমিত ঘোষ জানালেন, দেহের ময়নাতদন্তের পর দেহ বের করার নির্দিষ্ট গেট আছে। সেখান দিয়েই সাধারণত দেহ বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেদিন সেদিক দিয়ে যাওয়া হয়নি। তাঁকে অন্য় দিক দিয়ে যেতে বলা হয়। যেদিক দিয়ে ডাক্তাররা বের হন, ৬ নম্বর গেট, সেদিক দিয়ে বের করতে বলা হয় দেহ।
এই অমিত ঘোষই শববাহী গাড়ি চালিয়ে আর জি কর হাসপাতাল থেকে বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে গেছিলেন তরুণী চিকিৎসকের নিথর দেহ। তাঁর দাবি, পরিবারের কেউ নয়, পুলিশই তাঁর গাড়িটি বুক করে। সেদিন নির্যাতিতার দেহবাহী গাড়ির সামনে ও পিছনে ছিল পুলিশের কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনী। ' পুলিশ গাড়িটা বুক করে। টাকা পুলিশ দেয়। সামনে ২ টো পুলিশের গাড়ি। পিছনে ২ টো গাড়ি ছিল। আমাকে বলে যে পথে ডাক্তাররা বের হয়, সে পথে গাড়ি বের করতে হবে। '
এখানেই শেষ নয়, গাড়ি চালকের দাবি, মৃতদেহ শ্মশানে পৌঁছে দেওয়ার পর, সেখানে দ্রুত তাঁর টাকা মিটিয়ে দেয় পুলিশ। চালক বিষ্ময়প্রকাশ করে বলেন, পাণিহাটি শ্মশানে দেহ নিয়ে যাওয়ার পর তিনি দেখেন, সব রেডি সেখানে। তাঁকে পুলিশই ৫০০ টাকা দিয়ে চলে যেতে বলে।
এত তড়িঘড়ি সবটা সেরে ফেলার কেন জন্য কেন এত তৎপর ছিল পুলিশ? প্রশ্নটা ছিলই। আবারও উঠল।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।