প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: 'আর জি কর মেডিক্যালের (R G Kar News) অ্যাকাডেমিক ফান্ডের টাকা যেত সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারদের পকেটে।' আর্থিক অনিয়ম মামলায় আলিপুর আদালতে দাবি করেছে CBI। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ওই টাকাতেই মেটানো হল ঠিকাদারদের বিল। 


অ্যাকাডেমিক ফান্ডের অপব্যবহার: আর্থিক অনিয়ম সংক্রান্ত মামলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, সরকারি অডিট অগ্রাহ্য করে হাসপাতালের অ্যাকাডেমিক ফান্ডের টাকায় মেটানো হত সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারদের বিল। এর আগে অ্যাকাডেমিক ফান্ডের অপব্যবহার নিয়ে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একই অভিযোগে টালা থানার দ্বারস্থ হন তাপসচন্দ্র পাল নামে আরও একজন। সেই সময় টালা থানা ক্লিনচিট দিয়েছিল সন্দীপ ঘোষকে।  


আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজের আর্থিক দুর্নীতির মামলায় গত ২ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন অধ্য়ক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। বেআইনিভাবে বিপজ্জনক বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য বিক্রি। জিম এবং নিজের চেম্বারের সৌন্দর্যায়নের জন্য কোভিড ফান্ডের অপব্যবহার। টাকার বিনিময়ে বেআইনিভাবে চিকিৎসক-অফিসারদের বদলি। অযোগ্যদের কাজের বরাত। সর্বোপরি কোটি কোটি সরকারি অর্থের অপচয়ের অভিযোগ উঠেছে।  আর জি কর মেডিক্যালের তৎকালীন অধ্য়ক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এরকমই ভুরি ভুরি অভিযোগ তুলে অ্য়ান্টি করাপশন ব্রাঞ্চ, থেকে ভিজিল্য়ান্স কমিশনার, টালা থানা নানা জায়গায় অভিযোগ করেছিলেন আর জি কর মেডিক্য়ালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি।


২০২৩-এর ১৪ জুলাই ভিজিল্যান্স কমিশনারকে লেখা অভিযোগপত্রে একটি-দুটি নয়, আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ১৫ রকমের অভিযোগের কথা উল্লেখ করেছিলেন আখতার আলি। যেখানে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে, সরকারি অর্থের অপচয়, টেন্ডার না ডেকে সরকারি জায়গা খাবারের দোকান, ক্যাফে, ক্যান্টিন, সুলভ শৌচালয়ের জন্য বরাদ্দ করা, ভেন্ডার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্বজন পোষণ, অযোগ্য়দের কোটি কোটি টাকার বরাত, ইচ্ছাকৃতভাবে আর্থিক নিয়ম এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। এখানেই শেষ নয়, আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজের তৎকালীন অধ্য়ক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অ্যাকাউন্ট অফিসারদের অগ্রাহ্য করে বিভিন্ন সংস্থাকে সুযোগ-সুবিধা করে দেওয়া। সিভিল এবং ইলেকট্রিক্যাল কাজকর্ম PWD-কে না দিয়ে তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে করানো, কলেজের অ্য়াকাডেমিক ফান্ডের অপব্যবহার, ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়ার্ক অর্ডার ভেঙে এক লক্ষ টাকার নীচে থাকে দেখানো যাতে, ই-টেন্ডার এড়ানো যায়, রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পুরসভাকে এড়িয়ে, বেআইনিভাবে ২ চাকার গাড়ি পার্কিং-এর বেনামি ব্যবসা। চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগে অনিয়ম, টাকার বিনিময়ে বেআইনিভাবে মেডিক্যাল অফিসারদের বদলি। এমনকী, ভেন্ডারদের থেকে ২০% ঘুষ নেওয়ার মতো একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: R G Kar Protest: আলো নিভিয়ে প্রতিবাদের আহ্বান চিকিৎসকদের, আজ ফের রাত দখলের ডাক