কলকাতা: রাত দখলের পর এবার ভোর দখলের (Bhor Dokhol) ডাক। ৯ সেপ্টেম্বর, সোমবার, আর জি করকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি। ওই দিনই ভোর দখলের ডাক দেওয়া হল। ভোর দখলের ডাক অর্জুন পুরষ্কারপ্রাপ্ত টেবিল টেনিস তারকা মান্তু ঘোষ সহ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার।


কী কর্মসূচি? 


গত ৯ অগাস্ট আরজি করে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনা ঘটে। ৯ সেপ্টেম্বর ওই ঘটনার এক মাস পূরণ হবে। ওইদিনই সুপ্রিম কোর্টে হবে আরজি কর মামলার শুনানি। ৯ সেপ্টেম্বর ভোর ৪.১০ মিনিট থেকে সকাল ৬ পর্যন্ত শিলিগুড়িতে ভোর দখলের ডাক দেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়ির হাসমিচকে ভোর দখলের ডাক মান্তু ঘোষদের। বিচার চেয়ে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। ভোরের দখল প্রসঙ্গে তাঁরা জানান, 'প্রতিদিন ধর্ষণ হচ্ছে। বিচার চাই। তিলোত্তমার বিচার এখনও অধরা। ওই দিন সুপ্রিম কোর্টে শুনানি আছে। আমরা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাব।'


আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ও সুবিচারের দাবিতে মেয়েদের রাত দখলের অভিনব কর্মসূচির সাক্ষী হয়েছে গোটা দেশ। আবার বাড়ির আলো নিভিয়ে, মোমবাতি জ্বালিয়ে অন্ধকারের মধ্য়ে দিয়ে আলোর দিশা পাওয়ার অভূতপূর্ব ডাকও দেখেছে বাংলা। আর এবার ভোর দখলের ডাক। অর্জুন পুরষ্কারপ্রাপ্ত টেবিল টেনিস তারকা মান্তু ঘোষের কথায়, "আমার একটাই দাবি। বিচার খুব তাড়াতাড়ি আশা করব। একজন মেয়ে হিসেবে বলি, রাতে আমার মতো অনেক নারীরই কিন্তু ঘুম হয় না, বিচার কবে পাব আমরা। দ্রুত বিচার আশা করছি। পাশাপাশি দোষীদের কঠোর থেকে কঠোর শাস্তি আশা করছি। শিক্ষক-ছাত্র সহ শিলিগুড়িবাসী আহ্বান জানাব, যেন ৯ সেপ্টেম্বর ওই সময় আমরা একসঙ্গে ভোর দখল করতে পারি।"


অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের শুনানির আগে রবিবার ফের রাত দখলের ডাক দিলেন ১৪ অগাস্টের কর্মসূচির আহ্বায়করা। নিহত চিকিৎসক তরুণীর দেহ উদ্ধারের এক মাসের মাথায় এবার রিমঝিমদের নতুন প্রতিবাদ কর্মসূচি, শাসকের ঘুম ভাঙাতে নতুন গানের ভোর। এর পাশাপাশি যাদবপুর আর্টিস্ট ফোরাম: আর্টিস্টস ফর হিউম্যানিটি আয়োজনে রাজপথেই ক্যানভাসের ডাক দেওয়া হয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় গড়িয়া থেকে সুকান্ত সেতু পর্যন্ত এই ক্য়ানভাসের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: R G Kar News: 'উদ্দেশ্য বা ঘটনা যদি না জানতে পারি, কীভাবে বলব সুরক্ষিত?' আরজি কর কাণ্ডে প্রশ্ন চিকিৎসকের