ভাস্কর মুখোপাধ্য়ায়, বীরভূম: আর জি কর (R G Kar News) হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের এই মর্মান্তিক পরিণতি, কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি। মন চাইছে বিচারের দাবিতে ছুটে যেতে ধর্নাস্থলে। কিন্তু, অসমর্থ শরীর সেই শক্তি দিচ্ছে না। তাই, আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে, জমানো ১০ হাজার টাকা জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে পাঠিয়েছেন বীরভূমের এই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা।                    


আন্দোলনের পাশে: শারীরিকভাবে অসুস্থ হলেও মানসিক জোর এতটুকুও কমেনি। আর জি কর কাণ্ডে বিচারের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বীরভূমের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা স্নেহময়ী সরকার। শারীরিকভাবে আন্দোলনস্থলে পৌঁছতে পারেননি তিনি। তিনি স্নেহময়ী সরকার। বীরভূমের সিউড়ির ব্রজ গ্রামের বাসিন্দা। বীরভূমের তাঁতিপাড়া ইন্ডিয়ান টেক্সটাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। ২০০৭ সালে অবসর নেন। ছাত্র গড়ার কারিগর ছিলেন। নিজেও মেয়ের মা। আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের মৃত্য়ু তাঁকে মারাত্মকভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে। তাই, বিচারের দাবিতে ছাত্র সমাজের এই আন্দোলন দেখে চুপ থাকতে পারেননি ৭৬ বছরের এই মানুষটি। মন পড়ে আছে সেই ধর্নাস্থলে। কিন্তু অসুস্থতার জন্য় যেতে অপারগ। তাই, পেনশনের টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা তিনি তুলে দিয়েছেন আন্দোলনকারীদের হাতে। পাঠিয়েছেন তাঁর জমানো ১০ হাজার টাকা। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা বলেন, " মেয়েটার মারা যাওয়া আমায় অত্য়ন্ত... আমি ঘুমোতে পারছিলাম না। ছটফট করেছি। কী কষ্ট পেয়েছে। আমি কি কিছু করতে পারি! এত দূর থেকে। তাই এটা করেছি। আমি দেখলাম এদের কে খাবার এনে দেবে, কে কীভাবে সাহায্য় করবে, ওদের কে দেবে? সেই জন্য়ই জিজ্ঞেস করলাম, এটা দিয়ে তো কিছু অন্তত হবে। ওদের লড়াই তো আমাদের জন্য়। মেয়েটার জন্য় ওরাই লড়াই করছে।''


কবে বিচার পাবে নিহত তরুণী চিকিৎসক? গোটা রাজ্য়ের সঙ্গে অপেক্ষা করছেন বীরভূমের এই বৃদ্ধা শিক্ষিকাও। স্নেহময়ী সরকার বলেন, "ছেলেগুলোর সঙ্গে আছি। আমি নাগরিক সমাজের একজন। আমার মনে ওদের যদি একটু উপকার করতে পারি। আমার সামর্থ অনুযায়ী। দূর থেকে যদি একটু উপকার করতে পারি।''


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Junior Doctors Protest: ৫ দফা দাবিতে অনড়, এবার মহামিছিলের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের