নান্টু দে, রায়গঞ্জ: অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্নায় বসলেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ জন অতিথি অধ্যাপক। মঙ্গলবার সন্ধে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তারা ধর্নায় বসেছেন। তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের নির্দেশিকা জারির প্রায় তিন বছর হতে চলল। তবুও SACT টিচারদের কোনও সুবিধা মেলেনি। সঙ্গে আরও পাঁচজন অতিথি শিক্ষক ও শিক্ষিকাও তাঁদের প্রাপ্য বেতনটুকুও পাচ্ছেন না। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের অধ্যাপক এবং চুক্তি ভিত্তিক শিক্ষকেরা সমস্ত সুবিধা পাচ্ছেন।            


এ দিন রাতে ধর্না চলাকালীন কলা ও বাণিজ্য বিভাগের ডিন প্রশান্ত কুমার মহলা, এস্টেট অফিসার অমিত মন্ডল এসে  আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। অতিথি অধ্যাপক  সংগঠনের ইউনিট সভাপতি ডঃ রাগিব আলি মিনহাজ বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ নির্দেশিকা জারির পরেও তাঁদের কোনও সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। তাই আজ আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। বিগত তিন বছর ধরে তাঁরা আন্দোলনে সামিল থাকলেও কোনও রকম সুফল পাননি।                                                      

যদিও তাঁরা ধর্নায় বসার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপক কুমার রায়ের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা ও করেছেন, তবে সমস্যা সমাধানের জন্য কোনও সদুত্তর বা দিশা মেলিনি। বাধ্য হয়েই আন্দোলনের পথে যেতে নেমেছেন বলে দাবি অতিথি অধ্যাপকদের। দাবি না মানলে আগামী দিনে বৃহত্তম আন্দোলনের পথে এগোনোরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। যদিও এ বিষয়ে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপক কুমার রায় বলেন, 'আন্দোলনকারীদের দাবিগুলি ভিত্তিহীন। এই মুহূর্তে তাদের দাবি পূরণ করা সম্ভব নয়। সরকারি নির্দেশ ছাড়া এখানে আমাদের কিছুই করার নেই। জানি ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা ক্ষেত্রে অসুবিধা হচ্ছে'। পাশাপাশি সবার সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে আশ্বাস দেন উপাচার্য।                                                                   


আরও পড়ুন: Abhijit Gangopadhay: আমার কাজ, কথায় একটা শ্রেণি বিপদে পড়ছে, তাই হয়তো...' অভিষেক প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়