অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: অবিলম্বে রেলের শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে। এই দাবিতে কলকাতায় রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন চাকরিপ্রার্থীরা। অন্যদিকে, আগামী রবিবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্প-৩-এর শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী।
ভারতীয় রেল। দেশের পরিবহণ ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। সেই সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুবিশাল ক্ষেত্র। কিন্তু সেখানেই শূন্যপদের সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন। পশ্চিমবঙ্গ চাকরিপ্রার্থী ঐক্যম়ঞ্চের দাবি, ২০১৯-এর পর থেকে রেলে বন্ধ নিয়োগ। ২০২৩ সাল পর্যন্ত শূন্যপদের সংখ্যা ৩ লক্ষ ১২ হাজার। সেই সব শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ করতে হবে। এই দাবিতে শুক্রবার কলকাতায় রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের অফিসের মনে বিক্ষোভ দেখান সংগঠনের সদস্যরা।
অন্যদিকে, আগামী রবিবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শিলান্যাস করবেন অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্প-৩-এর। অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্প-৩-এর আওতায় দেশের ৫০৮টি স্টেশনের পুনর্নির্মাণ বা সংস্কার হবে। যার মধ্যে পূর্ব রেলের অধীন রয়েছে ২৮টি স্টেশন।
অন্যদিকে সম্প্রতি বিধানসভার পর, MLA হস্টেলের বাইরে বিক্ষোভ দেখান ২০১৬-র SLST-র চাকরিপ্রার্থীরা। চাকরির পাশাপাশি দাবি তোলেন, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা করার। ফের আন্দোলনকারীদের টানতে টানতে প্রিজন ভ্যানে তুলল পুলিশ। বিরোধিতায় সরব বিজেপি। রাজনৈতিক গিমিক, বিরোধীরা উস্কানি দিচ্ছে আন্দোলনে। বলেন ফিরহাদ হাকিম। বিধানসভার পর এবার MLA হস্টেল স্কুলে নিয়োগের দাবিতে সোমবারের পর বুধবার, ফের পথে নামলেন SLST-র চাকরিপ্রার্থীরা। ঠিক একইভাবে সোমবারের মতো এদিনও আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের, টেনে-হিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে প্রিজন ভ্যানে তুলতে দেখা গেল পুলিশকে।
গান্ধীমূর্তির পাদদেশে প্রায় ৯০০ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন ২০১৬-র SLST-র চাকরিপ্রার্থীরা। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী-সহ শিক্ষা দফতরের একাধিক কর্তারা গ্রেফতার হলেও, তাঁরা কবে চাকরি পাবেন, তা জানেন না এই সকল আন্দোলনকারীরা। বিধানসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আলোচনার দাবিতে সোমবার, বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। আর সোমবার পৌঁছে যান একেবারে কিড স্ট্রিটে, বিধায়কদের হস্টেলের বাইরে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন MLA হস্টেলের সামনে চাকরিপ্রার্থী আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে, তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহাকে। যে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা ৫ অগাস্টের পুরনো কর্মসূচির বিরোধিতাও করতে শোনা গেছে তাঁকে।