প্রসূন চক্রবর্তী, বাঁকুড়া: জলপাইগুড়ি রাজগঞ্জ থেকে এক ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেফতার করল বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। ওই ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেফতার করে জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করে ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ। আদালত দুদিন ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করার পর তাকে বাঁকুড়ায় আনা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে বাঁকুড়ার বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের কর্মরত একই নামের একজন চিকিৎসকের মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার রেজিস্ট্রেশান নম্বর ব্যবহার করে ওই যুবক রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চেম্বার খুলে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
এখনও পর্যন্ত পুলিশ হাওড়া , দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ও জলপাইগুড়ি জেলায় ওই ভুয়ো চিকিৎসকের তিনটি চেম্বারের হদিশ পেয়েছে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাঁকুড়ার বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার বড়জোড়া থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগে ওই চিকিৎসক জানান তাঁর বৈধ রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে একই নামের এক যুবক রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অবৈধ ভাবে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে। বড়জোড়া থানার পুলিশ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দন্ডবিধির ৪১৭, ৪১৯, ৪৬৮, ৪৬৯, ৪৭৩ ও ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে।
তদন্তে নেমে ওই ভুয়ো চিকিৎসকের সন্ধান শুরু করে পুলিশ। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বুঝতে পেরেই জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে আত্মগোপন করেন ওই ভুয়ো চিকিৎসক। আজ বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে রাজগঞ্জে হানা দিয়ে ওই ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেফতার করে বাঁকুড়া জেলা পুলিশের তদন্তকারীরা। জলপাইগুড়ি থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে বাঁকুড়ায় এনে আগামী বুধবার তাকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করবে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া ভুয়ো চিকিৎসককে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও বড়সড় রহস্যের পর্দাফাস হতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
এদিকে উৎসব পরবর্তী সময়ে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গতকালই ফের ছয়শোর গণ্ডি পেরিয়েছিল দৈনিক সংক্রমণ সংখ্যা। সোমবার সংখ্যাটা আরও বেড়ে গেল। সোমবার প্রকাশিত স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে গত একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯০ জন। রবিবার সেখানে সংখ্যাটা ছিল ৬২৪। এ নিয়ে রাজ্যে সবমিলিয়ে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৫,৮১,২২০ জন। সোমবার অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৭,৪১৬ জন। গতকালের তুলনায় ৫ জন কম।