খড়গপুর :  রামনবমীর মিছিলে একাধিক জায়গায় অস্ত্রের দাপাদাপি এই বাংলায়। তৃণমূল ও বিজেপি - দু’দলের শোভাযাত্রাতেই অস্ত্র হাতে দেখা গেল নেতা-কর্মীদের। করোনা আবহে ২ বছর বন্ধ ছিল রামনবমীর শোভাযাত্রা। এবছর ফের তা শুরু হতেই, ধর্মীয় মিছিলে দেখা গেল অস্ত্রের আস্ফালন।


অস্ত্র হাতে নিলেন দিলীপ ঘোষ : 
মঞ্চের ওপর অস্ত্র হাতে নিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর পাশেই গদা হাতে দাঁড়িয়ে খড়গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। রবিবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে রামনবমী উদযাপন সমিতির উদ্যোগে মঞ্চ বাঁধা হয়। রামনবমীর মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের পুরস্কৃত করার জন্য গতকাল রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ অনুষ্ঠানে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ ও হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তখনই দেখা যায়, তাঁদের একজনের হাতে তরোয়াল অন্যজনের হাতে গদা। একই মঞ্চে দেখা যায় দিলীপ- হিরণকে। যাঁদের সম্পর্কে শীতল স্রোত বয় বলেই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন। দিলীপ ঘোষকে নিয়ে বিভিন্ন সময় অসন্তোষ প্রকাশও করেছেন বিধায়ক হিরণ। আবার হিরণকে নিয়েও প্রশংসা বাক্য বড় একটা শোনা যায়নি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির মুখে। তবে রামনবমীর মঞ্চ তাঁদের মিলিয়ে দিল। 


 
রাম নবমীতে অস্ত্রের ঝনঝনানি
বিজেপি হোক কী, তৃণমূল---যুযুধান দুই দলের মিছিলেই কয়েক জায়গায় শোনা গেল অস্ত্রের ঝনঝনানি। ভাটপাড়ায় এবার একই মিছিলে অস্ত্র হাতে দেখা গেল তৃণমূল ও বিজেপি নেতাকর্মীদের।  ভাটপাড়ায় এদিন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মার সামনেই চলল অস্ত্র হাতে মিছিল।  রামনবমীর মিছিল ঘিরে ব্যাপক অশান্তি বাধে হাওড়া ও বাঁকুড়ায়। মিছিলে বিশৃঙ্খলাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বজরং দলের বচসার জেরে ধুন্ধুমার বাধে বাঁকুড়ার মাচানতলায়। অন্যদিকে, রামনবমী উপলক্ষে শিবপুরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মিছিলে ইট ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। দু পক্ষের সংঘর্ষে আহত কমপক্ষে ১০ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামানো হয় র‍্যাফ।

গেরুয়া শিবিরের পাশাপাশি, দিনটিকে পালন করল তৃণমূলও। এদিন যাদবপুরের পূর্বাচলে শক্তি সঙ্ঘে বাসন্তী পুজো উপলক্ষ্যে ঢাক বাজালেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও তৃণমূল বিধায়ক দেবাশিস কুমার।