মেদিনীপুর: অযোধ্যায় রামমন্দির (Ayodhya Ram Temple) উদ্বোধনের আগেই রামমন্দিরের উদ্বোধন হল মেদিনীপুরে (Midnapore)। মেদিনীপুর পুরসভার উদ্যোগে গাঁধীঘাট এলাকায় উদ্বোধন হল রাম-সীতা মন্দিরের। অযোধ্যার আগেই মেদিনীপুরে রামমন্দির উদ্বোধন ঘিরে শুরু তরজা। যাঁরা অযোধ্যার রামমন্দিরের বিরোধিতা করেছেন, তাঁরাই মেদিনীপুরে রামমন্দির করেছেন, খোঁচা দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। আর কি দিলীপ ঘোষের একার? পাল্টা প্রশ্ন তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়ার (June Malia)।


উল্লেখ্য, ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।  প্রাণ প্রতিষ্টা উৎসবের জন্য সরকার ও প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে কঠোর পরিশ্রম করে আসছে। এখন প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। রাম মন্দিরে নিরাপত্তার জন্য কড়া ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এই দিন সকল দর্শনার্থী ভক্তদের জন্য প্রবেশের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। অতিথিরা আমন্ত্রণ পত্র নিয়ে তবেই প্রবেশ করতে পারবেন মন্দিরের ভিতরে। যাদের কাছে ট্রাস্টের আমন্ত্রণপত্র রয়েছে তারাই মন্দিরে যেতে পারবেন। 


রাম মন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে প্রবেশের কিছু নিয়ম রয়েছে। সকাল ১১ টার মধ্যে রাম মন্দিরে প্রবেশ করতে হবে অতিথিদের। অতিথি তালিকায় নাম নেই, এমন কোনও সাধু-সন্ত প্রবেশ করতে পারবেন না। অতিথিরা কোনও পরিচারক বা সাহায্যকারীকে নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না, তাঁদের একাই যেতে হবে মন্দির চত্বরে। যদি কোনও সাধু-সন্ত রামলাল্লাকে দর্শন করতে চান, তাহলে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী বেরিয়ে যাওয়ার পরই প্রবেশ করতে পারবেন।


রাম মন্দিরে মোবাইল, ইলেকট্রনিক ঘড়ি, ল্যাপটপ বা ক্যামেরার মতো যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক জিনিস বহন করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এসব নিয়ে ধরা পড়লে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। সেই সঙ্গে রিমোট চালিত চাবি, বড় ছাতা, কম্বল, ব্যাগ, পুজোর সরঞ্জাম নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না মন্দিরে।রাম মন্দিরে কোনো ধরনের খাবার নিয়ে যাওয়া যাবে না।


 


আরও পড়ুন, 'কেন শেখ শাহজাহান আত্মসমর্পণ করছেন না? আইনজীবীকে প্রশ্ন আদালতের


ঢোকার আগে সব খাবার বাইরে রাখতে হবে। ভিতরে কোন ধরনের খাবার গ্রহণ নিষিদ্ধ।বেশিরভাগ মানুষই যে কোনো মন্দিরে বেড়াতে গেলে পুজোর থালা ও ​​পুজোর উপকরণ নিয়ে যান। কিন্তু রাম মন্দিরে পুজোর উপকরণ যেমন সিঁদুর, ফুল, পাতা, জল, ধূপকাঠি, প্রদীপ ইত্যাদি নিয়ে যাওয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আপনি যদি এই জিনিসগুলি বহন করেন তবে আপনাকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।রাম মন্দির ট্রাস্টের পক্ষ থেকে কোনও অফিসিয়াল ড্রেস কোড জারি করা হয়নি। পুরুষরা ধুতি, গামছা, কুর্তা-পাজামা এবং মহিলারা সালোয়ার স্যুট বা শাড়ি পরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে যেতে পারেন।