অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: কেউ ইসকনকে তুলনা করছে ক্যানসারের সঙ্গে। কেউ ইসকনের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেওয়ার ডাক দিচ্ছে। একদিকে যখন জেলবন্দি রয়েছেন ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস, যখন ইসকনের মন্দিরে হামলা হচ্ছে, তখন অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে ইসকনকে মুছে ফেলার ডাক দিচ্ছে মৌলবাদীরা। এরকম একাধিক ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ইসকনের কলকাতা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস।
এবার এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের। বাংলাদেশ সরকারকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, 'দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে জেলমুক্ত করুন। চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কারামুক্তি করলে আপনার সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। আশা করি আপনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে আমাদের আশ্বস্ত করবেন'। বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠিতে আবেদন রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের।
এদিকে বাংলাদেশের অশান্তি আবহ প্রসঙ্গে চরম আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইসকন কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। তিনি বলেছেন, 'খুব বিপজ্জনক। আমাদের ভক্তরা খুব চিন্তিত। সবচেয়ে চিন্তার বিষয়, যদি এই রকম মৌলানারা পুরো বাংলাদেশে ঘুরে, এই রকম সভা করছে যেখানে হাজার হাজার মানুষ তাঁদের শুনছে। সোশাল মিডিয়াতে যখন পোস্ট করা হচ্ছে, লক্ষ লক্ষ ভিউ পাচ্ছে। একসঙ্গে এত মানুষের যদি মগজ ধোলাই হয়, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পুলিশ, সেনা যদি ভাবে আমরা সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেব, এত লক্ষ লক্ষ মানুষকে কেউ সামলাতে পারবে না। ওরা যেটা বলছে, গণহত্যা যদি শুরু করে দেয়, এটা কারও নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।'
অন্যদিকে, আগামী ১৩ ডিসেম্বরও সনাতনীদের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল বাংলাদেশে। কিন্তু সূত্রের খবর, বর্তমান পরিস্থিতির জেরে সেটিও বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, '৪ দিনের মধ্যে কলকাতা দখল করে নেব', হুঁশিয়ারি বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাকর্মীদের!
ইসকনকে নিষিদ্ধ করার কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই বলে, ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে ইউনূস সরকারের পক্ষ থেকে। তাহলে কার মদতে ইসকনকে মুছে ফেলার ডাক দিচ্ছে মৌলবাদীরা? কোন সাহসে অস্ত্র হাতে তুলে নিতে বলছে? এবার কি ওই সব কট্টরপন্থীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে ইউনূসের প্রশাসন?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে