নান্টু পাল, বীরভূম: রামপুরহাট (Rampurhat Fire) মহকুমা হাসপাতালে মৃত্যু হল অগ্নিদগ্ধ আতাহারা বিবির। বগটুইকাণ্ডের (Bogtui Arson Case)অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন ওই মহিলা। এর ফলে বগটুই হত্যাকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১০। সিবিআইয়ের উপস্থিতিতে হয় ময়নাতদন্ত।


বগটুইকাণ্ডে মৃত বেড়ে ১০


শেষ হল ৪০ দিনের লড়াই। রামপুরহাটকাণ্ডে মৃত্যু হল আরও এক অগ্নিদগ্ধ মহিলার। প্রায় ছয় সপ্তাহ লড়াই শেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন অগ্নিকাণ্ডে জখম ও হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী আতাহারা বিবি। ফলে আবারও  স্বজন হারানোর যন্ত্রণা বগটুইয়ের পূর্বপাড়ায়।


গত ২১ মার্চ বীরভূমের (Birbhum News) রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে খুন হন তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ (Bhadu Sheikh Murder)। তারপরই শুরু হয় গ্রামে তাণ্ডব। একের পর এক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। জীবন্ত দগ্ধ হয়ে শিশু-মহিলা-সহ ৮ জনের মৃত্যু হয়। জখম হন সহ আতাহারা বিবি-সহ বেশ কয়েকজন। 

অগ্নিকাণ্ডের পরের দিন ২২ মার্চ, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন আতাহারা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বছর পঞ্চাশের মহিলার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে যায়। শুক্রবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়। রবিবার ভোররাতে থেমে যায় তাঁর লড়াই। 


আরও পড়ুন: Rabindranath Ghosh: কোচবিহারে চরমে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! ফের রবীন্দ্রনাথ-পার্থপ্রতিম সংঘাত| Bangla News


আতাহারার আগে ২৮ মার্চ মৃত্যু হয় আর এক অগ্নিদগ্ধ মহিলার। ফলে বগটুই হত্যাকাণ্ডে এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১০। আতাহারার মেয়ে নুরুন্নেসা বিবি বলেন, "মাকে পুড়িয়ে দিয়েছিল, ৯ জন মারা গেছে। মা অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি ছিল। ওরা যেন ছাড়া না পায়। লালনকে যেন দ্রুত ধরে, তাহলে শান্তি হবে।"


বগটুই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। আগে অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী আতাহারা বিবির বয়ান রেকর্ড করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এদিন মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে যান সিবিআই-এর ৩ আধিকারিক। সিবিআই আধিকারিকদের উপস্থিতিতে হয় ময়নাতদন্ত। 


চক্রীদের কয়েক জন এখনও গ্রামে রয়েছেন বলে অভিযোগ


তবে মৃতদের পরিবারের দাবি, অগ্নিকাণ্ডের যাঁরা চক্রী তাদের কয়েকজন এখনও রয়েছেন গ্রামে। তাঁদের গ্রেফতারির আর্জি জানিয়েছে অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের স্বজনেরা। মৃতের আত্মীয় শেখলাল শেখ বলেন, "মিলনের ছেলে রানা প্রত্যেক ঘরে আগুন দিয়েছিল। টোটোতে করে তেল আনে মিলন। ওকে যেন তোলা হয়। অন্য আসামিরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদের যেন তোলে। নাম সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে। এরা গ্রামে ঢুকছে। রানার ফাঁসি চাই।" বগটুই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। তার মধ্যেই মৃত্যু হল আরও এক প্রত্যক্ষদর্শীর।