Rampurhat Fire Live Updates: রামপুরহাটকাণ্ডে সিবিআইয়ের এফআইআরে একাধিক গুরুতর ধারা
Rampurhat Fire Live Updates: বগটুই তদন্ত কোন পথে, জেনে নিন প্রতি মুহূর্তের আপডেট।
কাল থেকে তদন্তে সিবিআই। বীরভূমের এসপি-কে ই-মেল করে এফআইআর, অভিযোগপত্রের কপি চাইল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কপি দিল বীরভূম জেলা পুলিশ।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্ট CBI তদন্তের নির্দেশ দিতেই, তাকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি
হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই রামপুরহাটকাণ্ডের তদন্তে সিবিআই। পুলিশের অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে ১০টি ধারায় এফআইআর দায়ের।
ভাদু শেখের অনুগামীরা হুমকি দিচ্ছে, যাঁরা বেঁচে আছে তাঁদেরও প্রাণে মারার হুমকি। অভিযোগ রামপুরহাটকাণ্ডে নিহত মীনা বিবির মেয়ের।
মুখ্যমন্ত্রীর উপর ভরসা রয়েছে, জানালেন নিহতের আত্মীয় মফুজা বিবি।
ঘটনার দিন আনারুলের সঙ্গে কাদের কথা হয়েছিল, আনারুলকে কেউ কোনও নির্দেশ দিয়েছিল কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর।
ঘটনার দিন আনারুলের সঙ্গে কাদের কথা হয়েছিল, আনারুলকে কেউ কোনও নির্দেশ দিয়েছিল কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর।
সাতটি নয়, একটি মৃতদেহই শনাক্ত করতে পেরেছেন। বাকিদের চেনা যাচ্ছে না। দাবি নিহতের আত্মীয় আলাউদ্দিন শেখের।
সিবিআইয়ের এফআইআর-এ আগুন লাগানো, হিংসা ছড়ানোর মতো অভিযোগ। খুন, খুনের চেষ্টা এবং আগুন লাগিয়ে হত্যার অভিযোগ।
হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের নজরদারিতে তদন্ত হলে অবশ্যই ভালো। মন্তব্য করেছেন সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ি।
রামপুরহাট কাণ্ডের মাঝেই বীরভূমে বোমা নিষ্ক্রিয় করল পুলিশ। এদিন বীরভূমের মাড়গ্রামে একাধিক বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়।
সিবিআইয়ের এফআইআরে ভারতীয় দণ্ডবিধির দশটি ধারা রয়েছে।
পুলিশের অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে রামপুরহাটকাণ্ডে এফআইআর সিবিআইয়ের।
রামপুরহাটকাণ্ডে শুধু আনারুল হোসেন বা ভাদু শেখই যুক্ত নয়, তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব এর সঙ্গে যুক্ত। কটাক্ষ রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যর।
রামপুরহাটকাণ্ডের প্রতিবাদে পথে বিশিষ্টজনেরা। মৌলালি থেকে শুরু মিছিল। পা মিলিয়েছেন পবিত্র সরকার, অম্বিকেশ মহাপাত্র, অনীক দত্ত, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়রা।
পক্ষপাতিত্ব থাকেই কেন্দ্রীয় সরকারের। আগের কিছু ক্ষেত্রেই এমন দেখা গিয়েছে। রামপুরহাটকাণ্ডে CBI তদন্ত নিয়ে মন্তব্য ফিরহাদ হাকিমের।
'সুচপুরে যেমন সাজিয়েছিলে, এখনও সবকটা জেলে আছে। ওই কেসটার মতো সাজাতে হবে।' রামপুরহাটের বগটুইয়ে নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলার সময় এমনই মন্তব্য করেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। যা নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক।
সিবিআই তদন্তের ভার নিয়েছে, ভালই হয়েছে। প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। কুণাল ঘোষের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন তিনি।
রামপুরহাটকাণ্ড নিয়ে কুণাল-অনুব্রত তরজা। কুণাল ঘোষ বলেন, 'বড় নেতা অনুব্রত মণ্ডল, উনি বেশি বোঝেন, ওঁকে নিয়ে মন্তব্য করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।'
বগটুইতে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দল। তদন্তকারীদের নজরে আনারুলের মোবাইলের কললিস্ট।
রামপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে হাওড়ার বাগনানে কংগ্রেসের মিছিল। মিছিলের নেতৃত্বে সাংসদ অধীর চৌধুরী। মিছিলে আনিস 'খুন'-কাণ্ড নিয়েও সমালোচনা।
এই ঘটনায় শুধু আনারুল, ভাদু শেখ নয়, গোটা তৃণমূল জড়িত: শমীক ভট্টাচার্য।
'নির্মম হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আনারুল হোসেন।' আদালতে দাবি সরকারি আইনজীবীর।
হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আনারুল, দাবি আইনজীবীর। জানালেন, আনারুলকে জেরা করা জরুরি।
১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত আনারুলের। আদালতে ঢোকার মুখে আনারুল জানান, ‘‘আমি নির্দোষ। দিদির নির্দেশে আত্মসমর্পণ করেছি।’’
আনারুল হোসেনের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত। নির্দেশ দিল রামপুরহাট মহকুমা আদালত।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে নিহত তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখের শ্যালককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত রাজেশ শেখ ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে দাবি পুলিশের। গতকাল গ্রেফতার হন রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি আনারুল হোসেন।
এখন বলছেন বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। তার মানে মুখ্যমন্ত্রী জানতেন বেআইনি অস্ত্র মজুত রয়েছে। আমাদের পুলিশ-প্রশাসন নিরপক্ষে নয়, এতেই বোঝা যাচ্ছে, বললেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায়।
‘‘আমি নির্দোষ। দিদির নির্দেশেই আত্মসমর্পণ করেছি। যআ বলার আদালতে বলব,’’, রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলার আগে দাবি আনারুলের।
‘রামপুরহাটে টাকা দিয়ে মুখবন্ধ করার চেষ্টা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, যাতে সত্য বেরিয়ে না আসে’, সংসদে বললেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর সিট আর কেন্দ্রের সিবিআই, সব এক, বলেলন সুজন চক্রবর্তী।
বাংলার মানুষ বিশ্বাস করেন যে, পুলিশ সিট গঠন করে সত্যের উদঘাটন হবে না। কারণ বাংলায় পুলিশই তৃণমূল, তৃণমূলই পুলিশ। আদালত তা বুজেছে, তা-ই সিবিাই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে: শমীক ভট্টাচার্য।
‘‘মুখ্যমন্ত্রী রামপুরহাটে গিয়ে দোষীদের গ্রেফতার করিয়েছেন। এর থেকেই প্রমাণিত ঘটনার পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে,’’ মন্তব্য নওশাদ সিদ্দিকির। আজ বগটুই যাওয়ার পথে এই মন্তব্য করেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক।
উন্নাও, হাথরস, লখিমপুর, অসমে সিবিআই তদ্ত হল না কেন। সিবিআই তদন্ত শুধু বাংলার বেলায়: কুণাল
বগটুইকাণ্ডে সিবিআই-কে সম্পূর্ণ সহযোগিতা। কিন্তু যেখানে মুখ্যমন্ত্রী নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তদন্ত করাচ্ছেন, ক্ষতিপূরণ দিচ্ছেন, সেখানে সিবিআই কেন, প্রশ্ন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের। তাঁর দাবি, সিবিআই নিরপেক্ষ সংস্থা নয়। কুণাল বলেন, ‘‘বিজেপি-র দুই ভাই, ইডি আর সিবিআই।’’
সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে স্বাগত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর। বলেলন, ‘‘বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা রয়েছে। তাই বিচার ব্যবস্থার তত্ত্বাবধানে সিবিআই তদন্ত হোক।’’
রামপুরহাটে তদন্ত করতে পৌঁছল কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দল। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের।
৭ এপ্রিলের মধ্যে সিবিআইকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ। রামপুরহাটকাণ্ডে বিচারের স্বার্থে, মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে এই নির্দেশ, জানাল কলকাতা হাইকোর্ট।
রামপুরহাটকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। রাজ্য আর কোনও তদন্ত করবে না। ধৃতদের সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে।
প্রেক্ষাপট
কলকাতা: বগটুইকাণ্ডে সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। আদালত সাফ জানিয়েছে, এই মামলায় আর কোনও তদন্ত করবে না রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা। ধৃতদের তুলে দিতে হবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদেরও আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা এবং তাঁদের আত্মবিশ্বাসের স্বার্থেই এমন নির্দেশ বলে জানানো হয়েছে (Rampurhat Fire)।
এ দিন রাজ্য সরকারের বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)-এর ভূমিকা নিয়েও এ দিন প্রশ্ন তোলে আদালত। আদালত জানায়, সিটের তদন্তে কোনও অগ্রগতিই হয়নি। তাই সিবিআই তদন্তের সপক্ষে সওয়াল করছে তারা।
আদালতে এই নির্দেশকে স্বাগত জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিদের ধন্যবাদ। আমাদের আবেদন ছিল, কোর্টের তত্ত্বাবধানে সিবিআই তদন্ত হোক।’’
সংসদে এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘আমরা পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতির শাসন চাই। রাজ্যে গণহত্যা চলছে। মানুষ ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘এই রাজ্য আর থাকার মতো নেই। পশ্চিমবঙ্গে মানুষ কথা বলতে পারেন না। সরকার খুনিদের নিরাপত্তা দিচ্ছে। আর কোনও রাজ্যে সরকার নির্বাচনে জেতার পর খুন করে না। আমরা মানুষ, পাষাণ হৃদয় রাজনীতি করি না।’’
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে এদিন বিধানসভাতেও (assembly) আঁচ পড়ে। বিধানসভা চলাকালীন ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন তাঁরা। পরে ওয়াক আউট করে বিধানসভার বাইরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান।
কিন্তু তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূল দলের তরফে সাফ জানানো হচ্ছে, আমাদের দলের নেতৃত্বের যা অবস্থান, সেখানে রাজ্যের তরফে রামপুরহাটের ঘটনায় যা যা করার ছিল তা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার। বরং কিছু বেশিই করেছে। আদালত এখন সিবিআইয়ের নির্দেশ দিয়েছে। আমরা তদন্তে সহযোগিতা করব, আমরা সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করব না। কিন্তু আমাদের স্পষ্ট কিছু কথা বলা হচ্ছে। সঠিক বিচার হোক। ইতিমধ্যেই আসল দোষীদের ধরার কাজ শুরু হয়েছে। এটা অব্যাহত থাকুক। বিজেপির আরেক ভাই ইডি আর সিবিআই। আমরা নিশ্চিন্ত যে রাজ্য সরকারকে আর কোনও দোষ দিতে পারবে না কেউ। এখন এই সিবিআই কিন্তু রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরি, নন্দীগ্রামের মত ঘটনার ন্যায় বিচার হয়নি। কিন্তু হাথরস, লখিমপুর, উন্নাওতে কেন সিবিআই হয় না, সেই প্রশ্ন থাকছে। তবে যদি দেখা যায় ন্যায়বিচার হয়নি, প্রতিহিংসাপরায়ণ ঘটনা ঘটেছে এই পরিধির বাইরে গিয়ে, সেক্ষেত্রে প্রতিবাদ হবেই।"
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -