ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: আবার বিকল এক্স রে মেশিন। আবার স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত হল বীরভূম রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে (Rampurhat Medical College)। বিনা মেঘে জল ঢুকে বন্ধ হল রামপুরহাট মেডিক্যালের পুরনো ভবনের ভিতরে থাকা পিপিপি মডেলের এক্স রে ঘর। রোগী ভোগান্তি চরমে।


স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত: জলে ডুবে আছে এক্স-রে মেশিনের কেবল। আর এক্স-রে রুমের বাইরে বড় বড় হরফে লেখা - জলে এক্স-রে মেশিন ডুবে থাকার জন্য পরিষেবা বন্ধ আছে। ফলে পোস্টার দেখেই ফিরে যেতে হচ্ছে রোগীদের। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে মিলছে না জরুরি বিভাগের ডিজিটাল এক্স রে পরিষেবা। দুর্ভোগের এই ছবি, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে, দৈনন্দিন গড়ে প্রায় ৪০০ রোগী এক্স-রে পরিষেবা পেয়ে থাকেন। মেশিন খারাপ হওয়ায়, সেই সমস্ত কাজও থমকে গিয়েছে। কিন্তু, কোথা থেকে জল আসছে এক্স-রে রুমে? দেখা গেল, হাসপাতালের বাইরে উপচে পড়েছে ড্রেনের জল। হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগের কর্মী মইনুল হাসান বলেন, "আমাদের হাইড্রেন যেটা রোডের উপর যে হাইড্রেন আছে। ওটা জ্যাম হয়ে পুরো মজে গিয়েছে। হাসপাতালের পুরো জলটা বের হতে পারছে না। মেশিন শিফ্ট হওয়ার কথা আছে। সেটা আমাদের স্বাস্থ্য ভবন থেকে অর্ডার হয়নি। বিল পাশ হয়ে যাবে। তখন ভাবনা-চিন্তা হবে।'' একদিন, দুইদিন নয়। ৬ দিন কেটে যাওয়ার পরও কেন স্বাভাবিক হল না পরিষেবা? হাসপাতালের MSVP পলাশ দাস বলেন, "আমাদের দিক থেকে যা করণীয়, সেটা করার জন্য যাবতীয় যেখানে যেখানে যোগাযোগ করা সম্ভব, সেখানে যোগাযোগ করেছি। যাবতীয় যোগাযোগ করেছি। বাইরের ড্রেনটা পরিষ্কার করলেই আমাদের এই জলটা বেরোবে।''

তবে এই ছবি তো নতুন নয়। গত বছরের জুলাইতে, জল ঢুকে খারাপ হয়ে যায় এক্স রে মেশিনের বোর্ড সহ নেটওয়ার্ক কেবল। প্রায় ৬ লক্ষ টাকা খরচ করে, ৫ দিন পর চালু করা হয় পরিষেবা। তার ঠিক একমাস বাদে ফের সমস্যা দেখা যায়। যার পুনরাবৃত্তি ঘটল এক বছরের মধ্যেই। এই অবস্থার খবর পেয়েই হাসপাতাল পরিদর্শনে যান রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক তথা রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, "আমি সঙ্গে সঙ্গে ওখানে গিয়ে তারাপীঠ রামপুরহাট ডেভেলপমেন্ট অথরিটিকে অ্যাকশন নেওয়ার জন্য বলি। এবং তাঁরা লোক-টোক পাঠিয়ে আগামী সোমবার থেকে আবার পরিষ্কার হবে।''


আরও পড়ুন: Shantiniketan Basanta Utsav: দোলে সাধারণের জন্য বন্ধ শান্তিনিকেতনের দরজা, কবে হবে বসন্ত উৎসব?