Protein Deficiency: ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করতে গিয়ে আমরা অনেক সময়েই সঠিক ভাবে খাওয়া-দাওয়া করি না। তার ফলে সবার আগে আমাদের শরীরে দেখা দেয় প্রোটিনের অভাব। আর এই ঘাটতি হলে একাধিক সমস্যা দেখা দেবে। তার ফলে দ্রুত স্বাস্থ্যের অবনতি হতে বাধ্য। অতএব ওজন কমাতে চেয়ে যাঁরা খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে নিয়ন্ত্রণ করছেন, তাঁরা বিশেষ খেয়াল রাখুন মেনুতে যেন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার থাকে এবং পাতে যেন নিয়ম করে সেটা পৌঁছয়, খাওয়া হয়।
আমাদের শরীরে প্রোটিনের অভাব হয়েছে বুঝবেন কোন কোন লক্ষণ দেখে? রইল তালিকা
- সকাল থেকেই যদি ক্লান্ত, অবসন্ন, ঝিমানো লাগে প্রায় রোজই, তাহলে বুঝতে হবে শরীরে প্রোটিনের অভাব রয়েছে। অল্প পরিশ্রমেই মারাত্মক ক্লান্তি এনে দেয় প্রোটিনের অভাব। কাজে অনীহা আসে। সারাক্ষণ ঘুম ঘুম ভাব থাকবে শরীরে।
- প্রোটিনের অভাবে আপনি দুর্বল হয়ে যেতে পারে। পেশী সংকুচিত হয়ে যায় প্রোটিনের ঘাটতি হলে। তার ফলে কর্মক্ষমতা কমে। এর থেকে পেশীতে আচমকা টানও ধরতে পারে।
- প্রোটিনের অভাব আপনার শরীরে থাকলে সারাক্ষণ একটা খাইখাই ভাব থাকে। ক্রেভিং থাকে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের উপর। তার ফলে অসময়ে ভুলভাল খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে এবং তার জেরে ওজন বৃদ্ধি পায়।
- প্রোটিনের অভাবে দুর্বল হয়ে আমাদের শরীরে ইমিউনিটি। তাই সহজে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন আপনি। ঘনঘন অসুস্থ হওয়ার একটা কারণ অতি অবশ্যই শরীরে প্রোটিনের অভাব হতে পারে।
- অনেকেরই দেখা যায় নখ একটু বড় হতে না হতেই আচমকা ভেঙে যায়। প্রোটিনের অভাবে নখ ভাঙার সমস্যা দেখা দিতে পারে। সবসময় কিন্তু ক্যালশিয়ামের ঘাটতি হলেই নখের সমস্যা দেখা যাবে তা নয়।
- আচমকা চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে গেলে বুঝতে হবে নিশ্চিত আপনার শরীরে প্রোটিনের অভাব রয়েছে। তাই যদি হঠাৎ করে লক্ষ্য করেন গোছা গোছা চুল পড়ছে তখন সতর্ক হওয়া জরুরি।
- ত্বক মারাত্মক রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে যেয়ে পারে প্রোটিনের অভাব। ক্রিম লাগিয়েও বিশেষ কাজ হবে না। ত্বকের এরকম অস্বাভাবিক রুক্ষ-শুষ্ক ভাব দেখলে সতর্ক হোন। ত্বক ভাল রাখতে তাই প্রোটিন জাতীয় খাবার নিয়মিত খাওয়া জরুরি।
- প্রোটিনের অভাবে অনেক সময়েই দেখা যায় সামান্য চোট-আঘাত, ক্ষতস্থান সহজে শুকোতে চাইছে না। এর ফলে সেপটিক বা ঘা হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
- প্রোটিনের ঘাটতি হলে শরীরে বিভিন্ন অংশে জল জমে তা ফুলে যেতে পারে। পায়ের পাতার ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি লক্ষ্য করা যায়। সবসময় ইউরিক অ্যাসিডের প্রভাবেই যে পায়ের পাতা ফুলে যাবে তা কিন্তু নয়।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।