Rampurhat Violence Live Updates 01 April, 2022: রাতে ফের বগটুই গ্রামে সিবিআই
Rampurhat Violence: রামপুরহাটকাণ্ড তদন্ত করে দেখছে সিবিআই। সেই পরিস্থিতিতে পুলিশের নিজের মধ্যেই দায় ঠেলাঠেলি শুরু। এরই মধ্যে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে নবান্ন অভিযানের পরিকল্পনা করছে বিজেপি।
৪ জন দমকলকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই, খবর সূত্রের।
রামপুরহাট থানার বর্তমান আইসি-কেও তলব সিবিআইয়ের।
রামপুরহাটকাণ্ডে অভিযুক্তদের খোঁজে সিবিআইয়ের প্রতিনিধি দল। রাতেই চলছে তল্লাশি।
বগটুইয়ে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি শুরু সিবিআইয়ের।
ফের বগটুইয়ের গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা সিবিআই গোয়েন্দাদের।
সিবিআইএ-র ডিআইজির নেতৃত্বে গ্রামে তদন্তকারী দল।
রামপুরহাটকাণ্ডে নিজেজের মধ্যেই দায় ঠেলাঠেলি পুলিশের মধ্যে। SDPO এই ঘটনায় জেলার উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের দিকে কার্যত আঙুল তুলেছিলেন। এবার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের তরফে পাল্টা দাবি করা হল, SDPO তাঁদের সঠিক তথ্যই জানাননি।
রামপুরহাটকাণ্ডে তদন্তে সিবিআই। চলছে জেরা। ঘটনা পরম্পরায় নজর তদন্তকারীদের।
সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের সময়ে DNA-র নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নিহতদের পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে সেই নমুনা মিলিয়ে দেখা হবে। তারপরই নমুনা দিল্লির ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে বলে CBI সূত্রে খবর।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে নিহতদের DNA পরীক্ষা করাবে CBI। পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের দেহ শনাক্ত করতে দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সেই কারণেই DNA পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রামপুরহাটকাণ্ডে তদন্তে সিবিআই, আগুন লাগানোর খবর পাওয়ার পর থেকে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন ঠিক কী কী করেছে, তার খোঁজ করছে সিবিআই।
রামপুরহাটকাণ্ড এবং আরও একাধিক ঘটনার প্রতিবাদে কলেজস্ট্রিটে প্রতিবাদ সভা বিশিষ্টজনদের।
গত পুরভোটেও তৃণমূলের নির্বাচন কমিটিতে ছিলেন রামপুরহাটকাণ্ডে ধৃত আনারুল হোসেন। ১১ জনের নির্বাচন কমিটির তালিকার প্রথমেই নাম ছিল।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন-সহ ৬ জনকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ CBI-র। রামপুরহাট থানা থেকে ধৃতদের অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ।
বগটুই মোড়ের CCTV ক্যামেরার ফুটেজ দেখেই ভাদু শেখ খুনের তদন্তে পুলিশ। ওই ফুটেজকে হাতিয়ার করেই এগোচ্ছে তদন্ত।
ভাদু শেখের দাদাকে খুনের পিছনেও হাত রয়েছে ভাদু শেখ খুনে অভিযুক্ত সোনা শেখ ও পলাশ শেখের। সোনা ও পলাশ এখন অধরা।
পুলিশ সূত্রে দাবি ভাদু শেখের খুনে জড়িয়ে দশজন। তাদের মধ্যে কয়েকজন এখনও অধরা। পলাতকদের ধরতে চলছে তল্লাশি।
ঘটনার রাতে কোথায় ছিলেন OC, CB? রামপুরহাট থানার ২ পুলিশ কর্মীকেও তলব সিবিআই-এর। এর আগে কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে থাকা রামপুরহাটের তৎকালীন SDPO সায়ন আহমেদ ও সাসপেন্ড হওয়া রামপুরহাট থানার তৎকালীন আইসি ত্রিদীপ প্রামাণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে CBI।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন-সহ ৬ জনকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ CBI-র। আজ রামপুরহাট থানা থেকে ধৃতদের অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে CBI সূত্রে খবর।
তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের খুনের তদন্ত চালাচ্ছে রাজ্য পুলিশ। এই দুই ঘটনার মধ্যে কী কোনও যোগ আছে? সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। এখনও অধরা অন্যতম অভিযুক্ত সোনা শেখ এবং পলাশ শেখও।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ঘটনার রাতে, ৮টা ২৮ নাগাদ ঘটনাস্থলে ২ টি বাইকে ৪ জন আসে। তাদের দুজনের মাথায় ছিল হেলমেট। সিবিআই সূত্রে দাবি, ভাদু শেখের মাথায় ১টি বোমা ছোড়া হয়। বাকি তিনটি বোমা ছোড়া হয় আশপাশে। এরপর বাইকে চারজন চম্পট দেয়। সেই সময় ভাদু শেখ একাই ছিলেন বলে সূত্রের দাবি।
বীরভূমের রামপুরহাটে তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে সিবিআই।
ময়নাতদন্তের সময়ে DNA-র নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নিহতদের পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে সেই নমুনা মিলিয়ে দেখা হবে। তারপরই নমুনা দিল্লির ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে বলে CBI সূত্রে খবর।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে ফের দমকলের OC-কে তলব করল CBI। এছাড়াও রামপুরহাট থানার ২ পুলিশ কর্মীকেও তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ঘটনার রাতে এই দুই পুলিশ কর্মী কোথায় ডিউটি করছিলেন তা জানতে চান কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার গোয়েন্দারা। এর আগে কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে থাকা রামপুরহাটের তৎকালীন SDPO সায়ন আহমেদ ও সাসপেন্ড হওয়া রামপুরহাট থানার তৎকালীন আইসি ত্রিদীপ প্রামাণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে CBI।
রামপুরহাটকাণ্ডে নিহত ৭ জনের দেহের ডিএনএ পরীক্ষা করাবে সিবিআই, খবর সূত্রের। বগটুইয়ে সোনা শেখের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় এই ৭ জনের দেহ। ৭ জনের দেহ শনাক্তকরণ হয়নি বলে অভিযোগ।
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে যে সব বাড়িতে আগুন লাগানো হয়, তার সবথেকে কাছের একটি সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এই আগে ওই এলাকার যে সব সিসিটিভি ফুটেজ মিলেছে, তা কিছুটা দূরের। এই প্রথম কাছের একটি বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ মিলল।
ভাদু শেখের খুনের ঘটনায় এখনও অধরা অন্যতম অভিযুক্ত সোনা শেখ ও পলাশ শেখ। ভাদু শেখের দাদা এবং এক সহযোগী খুনের ঘটনাতেও এই দু’জনের নাম জড়ায়। তাঁদের খোঁজ মিললে, এই ঘটনার তদন্ত কয়েকধাপ এগোবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ভাদু শেখের খুনের তদন্তে খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তিন জায়গার সিসিটিভি ফুটেজে। সেই ফুটেজগুলোই এখন মিলিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তিন জায়গায় একই ব্যক্তিদের দেখা গেলে, বিষয়টা অনেকখানি স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
প্রেক্ষাপট
বীরভূম: তদন্তে রাজ্যের ভূমিকায় ইতি পড়েছে আগেই। আদালতের নির্দেশে বীরভূমের (Birbhum Violence) রামপুরহাটণ্ডের (Rampurhat Violence) তদন্তে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিবিআই/CBI)। তার মধ্যেই রামপুরহাটকাণ্ডে রাজ্যের উপর চাপ সৃষ্টি করেই চলেছে বিজেপি (BJP)। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগে এ বার নবান্ন (Nabanna) অভিযান কর্মসূচি নিল তারা। আগামী ২২ বা ২৬ এপ্রিল নবান্ন অভিযান হতে পারে বলে দলীয় সূত্রের খবর। যদিও গেরুয়া শিবিরের এই কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না শাসকদল তৃণমূল (TMC)।
এ দিকে, রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তিন জায়গার সিসিটিভি ফুটেজে। সেই ফুটেজগুলোই এখন মিলিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তিন জায়গায় একই ব্যক্তিদের দেখা গেলে, বিষয়টা অনেকখানি স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা। রামপুরহাটকাণ্ডের তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে সিসিটিভি ফুটেজ। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ এবিপি আনন্দর হাতে এসেছে। আহত ভাদু শেখকে হাসপাতালে আনার পর কী কী ঘটেছিল? তা দেখা গেছে সেই ফুটেজে। এই সিসিটিভি ফুটেজে হাসপাতালে দেখা গেছে রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়কের ভাইপোকেও।
আবার রামপুরহাটের ঘটনায় দায় ঠেলাঠেলি শুরু হল পুলিশের মধ্যেই। সিবিআই সূত্রে দাবি, তৎকালীন SDPO এই ঘটনায় জেলার উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের দিকে কার্যত আঙুল তুলেছিলেন। এবার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের তরফে পাল্টা দাবি করা হল, SDPO তাঁদের সঠিক তথ্যই জানাননি।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হয়েছে তৎকালীন SDPO সায়ন আহমেদকে। সাসপেন্ড হয়েছেন রামপুরহাট থানার তৎকালীন আইসি ত্রিদীপ প্রামাণিক। সমালোচনার মুখে বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠীও। প্রশ্ন উঠছে, তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুনের পর কীভাবে একের পর এক বাড়ি জ্বালানো হল? পুলিশ কি নিষ্ক্রিয় ছিল? থাকলে দায় কার?
এই সব প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি। তবে এরইমধ্যে রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে বীরভূম জেলা পুলিশের মধ্যেও দায় ঠেলাঠেলি শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সোমবার সিবিআই-এর কাছে বয়ান রেকর্ডের সময়, তৎকালীন SDPO সায়ন আহমেদ যে সব দাবি করেছিলেন, এবার জেলার উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা তা নিয়ে পাল্টা মুখ খুললেন। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুরহাটের অগ্নিকাণ্ডের সময়, বীরভূমের উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তারা গেস্ট হাউসে বৈঠক করছিলেন। খবর পেয়েও তাঁরা কেউ বগটুই গ্রামে যাননি। কিন্তু জেলার উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের তরফে পাল্টা দাবি করা হয়েছে যে, তৎকালীন SDPO এই ঘটনা সম্পর্কে তাঁদের সঠিক রিপোর্ট দেননি। বরং ওই রাস্তা দিয়ে তল্লাশি অভিযান সেরে এসেও, তিনি বলেছিলেন, ছোটখাটো আগুন লেগে কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়ছে।
সিবিআই সূত্রে দাবি, তৎকালীন SDPO সায়ন আহমেদ দাবি করেছিলেন, তিনি বগটুই গ্রামে গেলেও, এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক তাঁকে বাইরে ডেকে পাঠান। তারপর তাঁকে ও অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে তিনি গেস্টহাউসে যান। সেখানে গভীর রাত অবধি তাঁদের বৈঠক চলে। কিন্তু, জেলার উচ্চপদস্থ পুলিশ আধকারিকদের পাল্টা দাবি, SDPO’কে গ্রামের বাইরে ডাকা হয়নি। তিনি নিজেই গ্রাম থেকে বেরিয়ে আসেন। তারপর গভীর রাত অবধি কোনও বৈঠক হয়নি। সবাইকে দায়িত্ব বোঝাতে মাত্র কুড়ি-পঁচিশ মিনিটের একটা বৈঠক করা হয়।
তদন্তে নেমে রামপুরহাট থানার তৎকালীন আইসি ও এসডিপিও’র সঙ্গে কথা বলেছে সিবিআই। আগামী দিনে কি জেলার আরও কোনও উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিককেও ডেকে পাঠানো হতে পারে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -