Kunal Ghosh: শোকজ-চিঠি পড়েছেন? উত্তরে কুণালের মুখে গানের কলি

Kunal Ghosh Show cause: কদিন আগেই এমন ক্ষোভ, তারপর চায়ের টেবিলে সাক্ষাতের পরিকল্পনা। শোকজের চিঠির জেরেই কি এমন নরম সুর? দলীয় নেতৃত্বই কি দুজনকে সমস্যা মেটানোর জন্য় বলেছে?

Continues below advertisement

কলকাতা: দলের বর্ষীয়ান সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kunal Ghosh on Sudeep Banerjee) বিরুদ্ধে মুখ খোলায় কুণাল ঘোষকে শোকজের চিঠি ধরিয়েছে দলের নেতৃত্ব। এদিন যখন সদ্য দলত্যাগী বিধায়ক তাপস রায়ের (তখনও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি) বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি, তখনই একটি চিঠি পান তিনি। শোকজের চিঠি নিয়ে তাঁর মন্তব্য়, 'একটি চিঠি পেয়েছি, ব্রাত্যর সঙ্গে তাপস রায়ের বাড়িতে থাকাকালীন চিঠি পেয়েছি, কিন্তু আমি চিঠি খুলিনি।' এরই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, 'সুব্রত বক্সী আমাকে স্নেহ করেন, মমতার সৈনিক, কিছু বাদ গেলে বক্সীদা ফোন করে ধরিয়ে দেন।'

Continues below advertisement

শোকজের চিঠি নিয়ে জিজ্ঞেস করতেই তিনি বললেন, 'দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় সম্পর্কে কোনও বক্তব্য় রাখছি না। আমি তৃণমূলের একজন কর্মী। ছিলাম, আছি, থাকব। আমার জীবনের উত্থান-পতনের পরেও দল ছাড়ার কথা ভাবিনি।' চিঠি পড়ে দেখেছেন কিনা জিজ্ঞেস করতেই তাঁর উত্তর,  'গান শুনছিলাম'... মহম্মদ রফির গাওয়া পুরনো হিন্দি গান গেয়ে শোকজের চিঠিকে প্রেমপত্র বলে উল্লেখ কুণালের।

কদিন আগেই দলীয় পদ ছেড়েছেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh Show Cause)। কিন্তু দল যে ছাড়বেন না তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। যদিও দলীয় পদ ছাড়ার দিনই এবিপি আনন্দে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ ও উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। দলের সংগঠন নষ্ট করা থেকে শুরু করে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখার মতো বিস্ফোরক অভিযোগ তিনি করেছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, দলের বর্ষীয়ান সাংসদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার কারণেই তাঁকে শোকজ করা হয়েছে।

যদিও যে কুণাল ঘোষ কদিন আগেই সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভে প্রায় খড়্গহস্ত হয়েছিলেন। নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা ক্ষেত্রে ২টি ওয়ার্ডে তৃণমূল হেরে যাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেছেন, সেই তাঁরই মুখে এদিন যথেষ্ঠ নরম সুর শোনা গেল। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বাড়িতে কুণাল ঘোষকে চা খেতে ডেকেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বলেছিলেন, 'একটু আগে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করেছিলেন, সন্ধে সাতটায় চা খেতে যাব।'

কদিন আগেই এমন ক্ষোভ, তারপর চায়ের টেবিলে সাক্ষাতের পরিকল্পনা। শোকজের চিঠির জেরেই কি এমন নরম সুর? দলীয় নেতৃত্বই কি দুজনকে সমস্যা মেটানোর জন্য় বলেছে? উঠছে প্রশ্ন।

আরও পড়ুন: SSC-এর সব মামলা খারিজের দাবি নিয়ে হাইকোর্টে কল্যাণ, নিশানায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola