কলকাতা: রাতের শহরে ফের বেপরোয়া লরির দৌরাত্ম্য। কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে লরির ধাক্কায় প্রাণ গেল মেটিয়াবুরুজের বাসিন্দা এক যুবকের। টালিগঞ্জ (Tollygunj) ফাঁড়ির কাছে টালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের ঘটনা (Road Accident)।অভিযোগ, ইটবোঝাই লরি, বাইকে ধাক্কা মারে। বাইক চালক মহম্মদ আরশাদকে কয়েক মিটার টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় লরিটি। চারু মার্কেট (Charu Market) থানার পুলিশ ওই যুবককে উদ্ধার করে এম আর বাঙুর হাসপাতালে (Bangur Hospital) নিয়ে গেলে, তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা (Doctor)। খালাসি ও লরি আটক করেছে পুলিশ। লরির চালকের খোঁজ চলছে।
দু দিন আগেই সাত সকালে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় (Accident Injures 1) গুরুতর জখম হয়েছিলেন ১ জন। রাজগঞ্জের (Rajganj) শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নর্থ বেঙ্গল ফার্ম সংলগ্ন তেতুলতলা স্কুলের সামনে দুর্ঘটনা ঘটে। এলাকায় চাঞ্চল্য তার পর থেকেই। প্রতিবাদে (Protest) পথ অবরোধ করেন এলাকাবাসী। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভও দেখান উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে বেলাকোবা ফাঁড়ির পুলিশ। উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ।
কী ঘটেছিল?
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানান, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ব্যক্তি আজ মর্নিংওয়াক করতে বেরিয়েছিলেন। আচমকাই একটি লরি পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে। গুরুতর জখম ওই ব্যক্তিকে শুক্রবার সকালে একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, জখমের নাম অঞ্জন রায়। বয়স চল্লিশ বছর। শিকারপুর অঞ্চলের মুরগী ভিটার বাসিন্দা তিনি। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি পৌঁছে যান স্থানীয়রা। শুরু হয় প্রতিবাদ, অবরোধ। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। এদিনই আবার জলপাইগুড়ির উল্লাডাবরিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় ৩ জনের। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, জনা কুড়ি শ্রমিক একটি ট্রেলারে করে কাজ করতে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই একটি লরির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ট্রেলারটির।প্রাথমিক ভাবে এক জনের মৃত্যুর খবর জানা গেলেও পরে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় প্রশাসন। জখম অনেকে। তাঁদের জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই ধরনের দুর্ঘটনা রাজ্যে নতুন নয়। উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক পরিণতির খবর উঠে আসে। তার পরও কি যথেষ্ট সতর্ক নয় প্রশাসন? কোথায় গাফিলতি থাকছে যাত্রীদের?
এর কয়েকদিন আগে হাওড়ার ডোমজুড়ে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক তরুণের। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পারে, গড়ফা থেকে বাইকে করে দক্ষিণেশ্বরের দিকে যাচ্ছিলেন ওই দুই তরুণ। পিছন থেকে কোনও একটি গাড়ি তাঁদের বাইকে ধাক্কা মারে। তাতেই এই মর্মান্তিক পরিণতি। তবে এখনও সেই গাড়ির গত কাল কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়ির ধাক্কায় বাইকটি ব্রিজ থেকে নিচে পড়ে যাওয়ায় মারা যান বিশাল ধাঁড়া নামে এক তরুণ। ভোরের দিকেই নাগাদ দুজনকেই উদ্ধার করে হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। জখম দ্বিতীয় তরুণ গত কাল থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডোমজুড় থানার পুলিশ।