প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : তাঁর অফিসে ইডি (ED) যে অভিযান চালাবে, সেই খবর কি আগেভাগে পেয়ে গিয়েছিলেন অয়ন শীল (Ayan Sil) ? ইডি সূত্রে দাবি, তল্লাশি শুরুর আগের দিনই সতর্ক করে অয়নকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠান এক মহিলা। তাহলে কি কেন্দ্রীয় এজেন্সি থেকেই কোনওভাবে তল্লাশির খবর ফাঁস হয়ে গিয়েছিল? উঠছে প্রশ্ন।

'ইডি আসতে পারে, পালাও'

'পালিয়ে যাও। জিনিসপত্র সরিয়ে দাও। ED আসতে পারে।' নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এল, এরকমই এক রহস্যময় মেসেজ। আরও স্পষ্ট করে বলা যেতে পারে, এক রহস্য়ময়ীর পাঠানো মেসেজ। সেই সঙ্গে মাথাচাড়া দিল মারাত্মক একটা প্রশ্ন, ED তল্লাশির আগেই কীভাবে গোপন খবর বাইরে বেরিয়ে গেল ?

স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। রবিবার গভীর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হলেও, শনিবার থেকেই তাঁর সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালাতে শুরু করেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। ED সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, অয়নের মোবাইল ফোনের চ্যাট হিস্ট্রি ঘেঁটে দেখা গেছে, তল্লাশি শুরুর আগের দিন অর্থাৎ শুক্রবারই তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়েছিলেন এক মহিলা ! সেখানে লেখা ছিল, পালিয়ে যাও। জিনিসপত্র সরিয়ে দাও। ED আসতে পারে।

কীভাবে পৌঁছল তল্লাশি আগাম খবর ?

যা দেখে চমকে ওঠেন তদন্তকারীরা। যার জেরে প্রশ্ন উঠছে ED-র ঘরের খবর বাইরে পৌঁছল কী করে ? তাও আবার ২৪ ঘণ্টা আগে! তাহলে কি সর্ষের মধ্য়েই ভূত ? নেপথ্যে কি বড় মাপের প্রভাবশালী ? যদিও ED সূত্রে খবর, সেই রহস্যময়ীর পাঠানো মেসেজ সম্পর্কে অয়নের কাছে জানতে চাওয়া হলে, তিনি এবিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন।

এদিকে অয়নের অফিস থেকে বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগের নথিও বাজেয়াপ্ত করেছে ED। উঠে এসেছে একাধিক এজেন্টের নামও। ED সূত্রে দাবি, যে এজেন্টেদের মাধ্যমে পুরসভায় অবৈধ নিয়োগ হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে। যেমন, কানু, লাল, MD, তপন। ED সূত্রে দাবি, পুরসভার কর্মী নিয়োগে সুপারিশ করতেন এই এজেন্টরা। কোন চাকরির জন্য় চাকরিপ্রার্থীকে কত টাকা দিতে হবে, জানাতেন তাঁরা। চাকরিপ্রার্থীদের দেওয়া টাকা কালেক্ট করে, তা অয়নের কাছে পৌঁছে দিতেন এই এজেন্টরাই। 

আরও পড়ুন- নাম বিভ্রাট, অয়ন ঘনিষ্ঠের বদলে ভাইরাল তাঁর ছবি, কী বলছেন গড়িয়ার শ্বেতা ?