রঞ্জিত হালদার, মোহন দাস, দক্ষিণ ২৪ পরগণা : দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে আরেক রঞ্জনের হদিশ। প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি  (Teaching Job Promise ) পাইয়ে দেওয়ার নামে ১ কোটি টাকারও বেশি তুলেছিলেন নতুন এই রঞ্জন! হ্যাঁ, এই একজন শিক্ষকই তুলেছিলেন ১ কোটি টাকা ! নিজেই বলছেন। সেই টাকা কার হাতে তুলে দিয়েছিলেন তাও বললেন সোজাসুজি। 


' মাথাপিছু ৮ লক্ষ টাকা করে চাহিদা '
ভাঙড়ের অভিযোগকারী সাধন মণ্ডল নিজেকে প্রতারিত দাবি করে বলেছেন, ' মাথাপিছু ৮ লক্ষ টাকা করে ডিমান্ড করা হয়েছিল চাকরি দেবে বলে। আমরা ২ জন ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু চাকরি তো পাইনি, ফেক অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার এসেছিল বটে ! টাকা ফেরত চাই ' 

২০১৩ সাল থেকে টাকা তুলছেন শিক্ষক !
চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগের কথা একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন ভাঙড়ের স্কুল শিক্ষক নুরউদ্দিন বৈদ্য । তাঁর স্পষ্ট স্বীকারোক্তি, সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ২০১৩ সাল থেকে ১ কোটি টাকারও বেশি তুলেছিলেন তিনি। ১০০ টাকা মূল্যের স্ট্যাম্প পেপারে নুরউদ্দিন বৈদ্যর তরফে লেখা হয়েছে,  'আমি নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রাইমারির চাকরি বাবদ মোট ৮৪ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা নিয়েছিলাম। এই টাকা ৩ দফায় পরিশোধ করতে বাধ্য'


' এই টাকা পার্থবাবুর কাছে ? '
অভিযুক্ত শিক্ষক আবার বলেছেন, 'এখন তো আমার মনে হচ্ছে, এই টাকা পার্থবাবুর ( Partha Chatterjee )  কাছে গিয়ে থাকলেও থাকতে পারে। যেভাবে টাকা চারিদিকে উদ্ধার হচ্ছে !' 


এই প্রেক্ষাপটেই হুগলির  ( Hooghly ) আরামবাগের চাঁদুড় হাইস্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক শিশির দলুই-সহ ৩ জনের নাম টেনেছেন নুরউদ্দিন! কিন্তু অভিযুক্ত শিশির দলুইয়ের খোঁজে তাঁর আরামবাগের পুরনো সব্জি বাজার এলাকার এক ভাড়া বাড়িতে গিয়ে কোনও খোঁজ মেলেনি। তাঁর স্ত্রীও এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলেই জানিয়েছেন।