কলকাতা: বিকাশ ভবনের আন্দোলনরত শিক্ষকদের উপর জামিনের অযোগ্য ধারায় কেস পুলিশের। ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে সরব চাকরিহারা শিক্ষকরা। ইতিমধ্যেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ খুলেছেন অভিষেকও। এবার এই ইস্যুতে নিশানা করলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এই ইস্যুতে দিলীপ ঘোষ বলেন, এই সরকার এমন জায়গায় চলে গেছে। দিয়ে না সরকার প্রশাসন চালাতে পারছে। না কোন উন্নয়ন করতে পারছে। বিরোধিতা বাড়ছে ভয় দেখিয়ে বন্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এইভাবে ভয় দেখিয়ে কতদিন মানুষকে রাখতে পারবে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই আন্দোলন করে জিতে এসেছেন। উনি জানেন ইতিহাস কী হয়। যদি সত্যকে দাবানোর চেষ্টা হয়। আন্দোলন থামাতে গেলে কী হবে সেটা উনিও জানেন। আর সেটা ২৬ শে হবে।
উল্লেখ্য, পুলিশের মারে রক্তাক্ত শিক্ষকরা। মার খাওয়া শিক্ষকদের বিরুদ্ধেই মামলা করেছে পুলিশ। সোমবার ও বুধবার, বিধাননগর উত্তর থানায় হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু চাকরিহারা আন্দোলনকারীকে। নোটিসে এও উল্লেখ করা হয়েছে, হাজিরা না দিলে গ্রেফতার পর্যন্ত করা হতে পারে! এদিকে, জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগে রিপোর্ট তলব করল রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন।
চাকরি ফেরত চাইতে গিয়ে জুটেছে পুলিশের বেধড়ক মার! রক্ত ঝরেছে। কারও পা ভেঙেছে। কারও চোখে আঘাত লেগেছে। তারপর, সেই মার খাওয়া... চাকরি হারানো শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের বিরুদ্ধেই মামলা করেছে পুলিশ। নোটিস দিয়ে ডেকে পাঠানো হল থানায়। কাউকে সোমবার। কাউকে আবার বুধবার বিধাননগর উত্তর থানায় তাঁদের হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নোটিসে এও উল্লেখ করা হয়েছে, হাজিরা না দিলে গ্রেফতার পর্যন্ত করা হতে পারে! চাকরিহারা আন্দোলনকারী মেহবুব মণ্ডলকে একেবারে আলাদা নোটিস পাঠিয়ে, সোমবার থানায় ডাকা হয়েছে।
অপরদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফর নিয়ে বলেন, 'আলোচনা তো অনেক হয়েছে। শিল্প কোথায় হয়েছে? আমরা শিল্প দেখতে চাই। আলোচনায় কী হচ্ছে, উনি চা মুড়ি খাচ্ছেন। নাকি শিল্প নিয়ে আন্দোলন করছেন আমরা কীকরে জানব? শিল্প হতো, লোক চাকরি পেতো। তাহলে জানা যেত উনি কিছু করছেন। উনি কিছু করছেন না সময় কাটাচ্ছেন, লোককে ধোকা বানাচ্ছেন।'
মুর্শিদাবাদের অশান্তি নিয়ে সিটকে আরও তদন্ত করতে বলেছে হাইকোর্ট, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ চায় আদালত। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, আদালতে কেস চলছে আদালত যা বলবে তাই হবে। কিন্তু এখানকার সরকার বলছে, আদালত মানি না। উনার যখন সুবিধা হবে, সিঙ্গুর মামলায় জিতে গেল তখন আদালত ঠিক। যে মামলায় উনার বিরুদ্ধে রাই যাবে না, আদালত মানেন না। কোনও সরকার এটা করতে পারে?'