আবির দত্ত, কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের আদালতে ভর্ৎসিত সিবিআই। তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে সিবিআইকে ভর্ৎসনা বিচারকের। 'আমি আজ কিছু বলব না, যা বলার আমার কলম বলবে, দুটি মামলা ছাড়া নিয়োগ দুর্নীতির অন্যান্য অত্যন্ত হতাশাজনক, তদন্ত ঠিকমতো চলছে না, এটা কি সিভিল কেস চলছে, প্রসেসের অজুহাত দিয়ে আর কতদিন অভিযুক্তদের আটকে রাখবেন?' ইতিবাচক পদক্ষেপ করুন, তদন্তকারী অফিসারকে ভর্ৎসনা আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের।
'নীলাদ্রি-কুন্তল-তাপস কাকে টাকা দিলেন, সেটা তো এখনও সামনেই আনতে পারলেন না, তাপস-নীলাদ্রি-কুন্তল কি সরকারি অফিসার, সরকারি অফিসার ছাড়া তো এই দুর্নীতি সম্ভবই না, সার্কেল কমপ্লিট করুন, এই মামলায় অন্য অভিযুক্তদের হেফাজতে না নেওয়াতেই সিবিআইকে ভর্ৎসনা বিচারকের। 'আগামী ২১ দিনের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি দেখান', ডেডলাইন বেঁধে দিল আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত।
শনিবার আলিপুর আদালতে জীবনকৃষ্ণ সাহা, কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল ও নীলাদ্রি ঘোষকে পেশ করে সিবিআই। এদিন বিচারকের উদ্দেশে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, আবেদন আছে। সরকারি আধিকারিকদের নাম আছে। তখন বিচারক বলেন, কাদের নাম আছে জানি না। ডেভেলপমেন্ট কী আছে ? বিশ্বাসযোগ্যতা রেখে তদন্তে অগ্রগতি থাকা দরকার। নীলাদ্রি ঘোষের পর থেকে কি ডেভেলপমেন্ট হয়েছে ? শুধু আবেদন আর আবেদন! আমি কি আপনাদের প্রোটেক্ট করার জন্য আছি ? সিবিআইয়ের আইনজীবী তখন বলেন, ৪টে কেস দেখা যাচ্ছে যেখানে টাকা নেওয়া হয়েছে। বিচারক বলেন, একটা পরিবারে ৪ জন খুন হলে, সেই তদন্তে অন্য কিছু দেখেন না ? বাকি যাঁদের নাম আছে, তাঁদের ধরা হচ্ছে না কেন? কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন- আবাস যোজনায় বাড়ি পেতে কাটমানি ২ তৃণমূল নেতাকে ! অভিযোগ দেবের ভাইয়ের
মামলা চলার মাঝে বিচারক বলেন, কেস অনুযায়ী ৩ জন আছে। নীলাদ্রি টাকা নিয়ে কুন্তল বা তাপস কে দিয়েছে। যাদের থেকে টাকা নিয়েছে তাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এপয়েন্টমেন্ট যে দিয়েছে সেই সরকারি আধিকারিকের একজনের নাম বলা হয়েছে। কিন্তু কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত পুরো করতে বৃত্ত সম্পূর্ণ করুন।
আরও পড়ুন, তাজা নাকি ফ্রিজের সবজি ? কোনটা উপকারী ?