কলকাতা: রাজ্য সরকারের গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Corruption Case) মামলায় গ্রেফতারের পর, বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলকে রাতভর জেরা করেছে সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গ্রুপ সি পদে শতাধিক চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন রঞ্জন ওরফে চন্দন। সেই টাকা কাদের দিয়েছিলেন? তাতে রঞ্জন কতটা লাভবান হয়েছিলেন, জানতে চাইছে সিবিআই।
কী দাবি সিবিআইয়ের?
পাশাপাশি, সিবিআইয়ের দাবি, SSC উপদেষ্টা কমিটির ৩ সদস্যের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলের। সেই সদস্যদের কাছেই নিয়োগ সংক্রান্ত সুপারিশ সরাসরি পৌঁছে দিতেন রঞ্জন ওরফে চন্দন। কার মাধ্যমে এই যোগাযোগ তৈরি হয়েছিল? জানতে বাগদার রঞ্জনকে জেরা করছেন সিবিআই অফিসাররা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, রঞ্জন ওরফে চন্দনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেনের তথ্য মিলেছে। এই টাকা কোথা থেকে এল, তা জানতে চাওয়ার পাশাপাশি, রঞ্জন ওরফে চন্দনের আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও সিবিআইয়ের স্ক্যানারে। গ্রুপ সি ছাড়াও, শিক্ষক বা অন্য কোনও নিয়োগে রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলের ভূমিকা রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
টাকা দিলে সুলভে মিলবে সরকারি চাকরি, জেলায় জেলায় এভাবেই ফাঁদ পেতেছিলেন বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডল। খাতায়-কলমে নয়, গোটাটাই ছিল মুখে মুখে প্রচার। গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলের বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, মধ্যস্থতাকারী রঞ্জন বিভিন্ন জেলায় সাব এজেন্ট রেখে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করেছিলেন। তাদের মাধ্যমেই চলত টাকা তোলা। গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিটে নাম থাকা চাকরিপ্রার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে বলে দাবি করেছে সিবিআই। রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলের সেই সাব এজেন্টরাও এবার সিবিআইয়ের নজরে। এমন ১০ জন এজেন্ট ও সাব এজেন্টকে আজ নিজাম প্যালেসে তলব করেছে সিবিআই।
আরও পড়ুুন: Nawsad Siddique: ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল হেফাজত, ‘আমাকে আটকে রাখার চেষ্টা’, বললেন নৌশাদ