কলকাতা : কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh, তাপস মণ্ডল ও নীলাদ্রি ঘোষের ফের জেল হেফাজত। ২০ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আজ আদালতে সিবিআই দাবি করে, 'নম্বর বাড়াতে আলাদা আলাদা দরে টাকা নেওয়া হয়েছে। যে ৬৮% পেয়েছে, তাঁর নম্বর ৭২% শতাংশ করতে আলাদা দর। যে ৭০% পেয়েছে, তাঁর নম্বর ৭২% শতাংশ করতে পৃথক দর। এই ভাবে শতাংশের বিচারে টাকা নিয়েছেন কুন্তল-শান্তনুরা।' নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআইয়ের মামলায় আজ ফের আলিপুরের বিশেষ আদালতে তোলা হয় কুন্তল, তাপস ও নীলাদ্রিকে।


এদিকে আদালত চত্বরে আজ ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কুন্তল ঘোষ । 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। বিচারকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।' বলে মন্তব্য করেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। ৩০ মার্চ একই দাবি করেছিলেন কুন্তল।


নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারির ৫২ দিনের মাথায়, যুব তৃণমূলের সম্পাদক কুন্তল ঘোষকে বহিষ্কার করে দল। কিন্তু কুন্তল বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, তিনি দলের পাশেই আছেন।


২৯ মার্চ শহিদ মিনার চত্বরের সমাবেশ থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করেন, তাঁর নাম বলানোর জন্য়, সারদাকাণ্ডে ধৃতদের ওপর চাপ দেওয়া হয়েছিল। অভিষেক বলেন, যবে থেকে সারদা হয়েছিল, আক্রমণ ছিল আমার দিকে। মদন মিত্র বসে আছেন, কুণাল ঘোষ দীর্ঘদিন কাস্টাডিতে ছিলেন, কী বলেছেন জানেন এদেরকে ? অভিষেকের নাম নাও, ছেড়ে দেব। কি বলেছিল না ?


এর পর পরই এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। বলেন, 'অবশ্যই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দেওয়া মানে, আমাদের বুক চওড়া করা। কারণ হচ্ছে বার বার একটা কথা বলি যে, এজেন্সিরা বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়ে আমাদের কাছ থেকে নেতাদের নাম বার করার চেষ্টা করছেন । আমাদের যত নেতা আছে, তাঁদের নাম বলানোর চেষ্টা করছে, তার জন্য তারা বলপূর্বক চেষ্টা করছে।'


তিনি আরও বলেন, 'আমরা মা-মাটি-মানুষের আদর্শ দলের লোক, কিন্তু আমরা ওই ধরনের ভয়কে আমরা পাত্তা দিই না। আমরা বুক সিনা করে চলি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বলে দিয়েছেন, একটা কথা বলতে পারি, কেন্দ্রীয় সংস্থা যেভাবে আমাদের হেনস্থা করছে এবং আমাদের নাম বলানোর চেষ্টা করছে আমাদের দিয়ে।'