কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) মামলায় ধৃত নীলাদ্রি দাসকে (Niladri Das) নিয়ে তদন্তে সামনে এসেছে চাঞ্চল্য়কর তথ্য়! সিবিআই সূত্রে দাবি, অবৈধভাবে চাকরি দিতে, রীতিমতো রেটচার্ট বানিয়েছিলেন নীলাদ্রি। সূত্রের খবর, ২০১৯-এর গোড়াতেই সরকারি চাকরি-বিক্রির এই রেট চার্টের কথা জানতে পেরেছিল CID। এরপরই রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দাদের হাতে একে একে গ্রেফতার হন নীলাদ্রি ও তাঁর ৯ সঙ্গী।


চাকরি দিতে রেটচার্ট: স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায়, CBI-এর গ্রেফতার হয়েছেন OMR মূল্য়ায়নকারী সংস্থার আধিকারিক নীলাদ্রি দাসকে। তবে শুধু স্কুল নয়, সূত্রের দাবি - NYSA-র ধৃত ভাইস প্রেসিডেন্ট নীলাদ্রি দাস চাকরি দেওয়ার দুর্নীতির জাল ছড়িয়েছিলেন পুলিশ থেকে শুরু করে পুরসভা, জেলাশাসকের দফতর থেকে পরিবহণ দফতর পর্যন্ত।নীলাদ্রি যে কয়েক বছর আগেই প্রতারণার জাল ছড়িয়েছিলেন, সেই তথ্য ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। যে কারণে চার বছর আগে তাঁকে গ্রেফতারও করেছিল রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা CID। নীলাদ্রির এক সঙ্গীকেও সিআইডি দিল্লি থেকে গ্রেফতার করেছিল। তিনি নাইসার কর্মী হলেও, সবসময় নীলাদ্রির সঙ্গেই কাজ করতেন। কিন্তু, গ্রেফতারির পরের মাসেই কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে যান নীলাদ্রি।কোন পরিস্থিতি সিআইডি মামলা হয়েছিল, বর্তমানে সেই মামলা কোথায় দাঁড়িয়ে, তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই।


CBI সূত্রে দাবি, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবৈধভাবে চাকরি দিতে, রীতিমতো রেটচার্ট বানিয়েছিলেন নীলাদ্রি। প্রাথমিকে শিক্ষক পদে চাকরির দর রেখেছিলেন ১০ লক্ষ টাকা। রাজ্য পুলিশে চাকরির জন্য ৮ লক্ষ, এমনকী সিভিক ভলান্টিয়ারের মতো অস্থায়ী পদের জন্য মাথাপিছু নেওয়া হত ৩০ হাজার টাকা। এছাড়াও সেনাবাহিনীতে চাকরির জন্য ১৩ লক্ষ ও পুরসভায় ক্লার্কের চাকরির রেট ছিল দেড় লক্ষ টাকা। এখানেই শেষ নয়, খাদ্য দফতরে ফুড সাব ইন্সপেক্টর পদে চাকরির জন্য ১১ লক্ষ, জেলাশাসকের দফতরে চাকরির জন্য ৭ লক্ষ,মোটর ভেহিকলসে ইন্সপেক্টর পদে চাকরির জন্য ১২ লক্ষ, পরিবহণ দফতরের অন্যান্য পদে চাকরির জন্য ৫ লক্ষ।


সূত্রের খবর, ২০১৯-এর গোড়াতেই সরকারি চাকরি-বিক্রির রেট চার্টের কথা জানতে পেরেছিল CID।এরপরই রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দাদের হাতে একে একে গ্রেফতার হন নীলাদ্রি ও তাঁর ৯ সঙ্গী। সিবিআই সূত্রে দাবি, OMR মূল্য়ায়নকারী সংস্থা নাইসার ভূমিকা নিয়ে তদন্ত চালাতে গিয়ে, সামনে আসে বিস্ফোরক তথ্য়! জানা যায়, ND ইনফো সিস্টেম প্রাইভেট লিমিটেড নামে আরও একটি সংস্থা চালাতেন নীলাদ্রি দাস। যার অফিস ছিল উত্তরপ্রদেশের নয়ডায়। এই সংস্থা খোলা হয় ২০১৫ সালে। সিবিআই সূত্রে দাবি, এই সংস্থা ছিল কার্যত দুর্নীতির স্কুল। নয়ডার অফিস থেকেই OMR বিকৃতির কাজ হত। সিবিআই সূত্রে দাবি, তদন্তে জানা গেছে শুধু অযোগ্য়দের নম্বর বাড়ানো নয়। যোগ্যদের নম্বর কমানোর কাজও করতেন নীলাদ্রিরা।


আরও পড়ুন: TMC: সুজনের পরে সুশান্ত! চাকরি-দুর্নীতিতে ফের বাম নেতাকে নিশানা তৃণমূলের