কলকাতা: সিপিএম নেতা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, 'আজকে সুপ্রিম কোর্টে ওরা প্রার্থনা করছিলেন যাতে হাইকোর্টের রায়কে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। খুব কাকুতি-মিনতি করে যে নির্বাচনের আগে মন্ত্রীরা গ্রেফতার হয়ে যেতে পারেন। তাতে সুপ্রিম কোর্ট জানায় সিবিআই কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না। সোমবার আবার শুনানি হবে।' তিনি জানান, 'কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে কোনওরকম হস্তক্ষেপ করেনি সুপ্রিম কোর্ট। শুধু বলেছেন সিবিআই কড়া পদক্ষেপ নেবে না।'


লোকসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী ও আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আইন অনুযায়ী ওএমআর শিট ১ বছরের মধ্যে নষ্ট করে দেওয়া যায়। সুপ্রিম কোর্টে এগুলো তো সওয়াল-জবাব হয়নি। সেটা হবে আগে। পাঁচ হাজারের মতো প্রার্থীর ওএমআর শিটে কারিকুরি হয়েছে। বাকিদের নিয়ে কখনও সমস্যা ছিল না। বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যরা আন্দোলনকারীদের পাশে তো ছিল। আজ তাঁদের শিকড় পর্যন্ত তুলে দিয়েছে।'


চাকরিহারাদের একাংশের দাবি, রাজ্য সরকার কী বলছে না বলছে তার উপর পূর্ণ আস্থা নেই। তার জন্যই আলাদাভাবে মামলা দাখিল করা হচ্ছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের রাজ্য সরকারেরই তো স্বশাসিত সংস্থা। ওরা যদি ওএমআর-এর স্ক্যান করে কারা যোগ্য, কারা অযোগ্য পুরো লিস্ট আদালতের কাছে দিয়ে দিত, তাহলে এই রায়টা হতো না। এটাই তাঁরা মনে করেন বলে জানাচ্ছেন। যারা যোগ্য আইনের মাধ্যমে যেন তাঁরা সুবিচার পায়- দাবি তাঁদের।


আজ কী জানাল সুপ্রিম কোর্ট?
২০১৬-র পুরো প্যানেল বাতিলের নির্দেশই আপাতত বহাল। প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ আপাতত সুপ্রিম কোর্টে বহাল। শুধু অতিরিক্ত শূন্যপদ নিয়ে সিবিআই-তদন্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। আগামী সোমবার পর্যন্ত অতিরিক্ত শূন্যপদ নিয়ে সিবিআই-তদন্তে স্থগিতাদেশ। প্যানেলে না থেকেও চাকরি করছে, এটা বিশাল দুর্নীতি, জানালেন সুপ্রিম কোর্ট। রায়ের একটি অংশ ছাড়া বাকি অংশে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট।


'নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত ওএমআর শিট, কীভাবে যোগ্য-অযোগ্য আলাদা? কীভাবে যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা করা যাবে?' প্রশ্ন দেশের প্রধান বিচারপতির। দুর্নীতির সুবিধাভোগী কারা, সেটা খুঁজে বের করে দেখতে হবে, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে রায়ের একটি অংশে সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি নিয়ে সিবিআই-নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ। প্রয়োজনে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরিতে যুক্তদের হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ স্থগিতাদেশ। 'টেন্ডার ছাড়াই নাইসাকে বরাত, মিরর ইমেজ ছাড়াই ওএমআর শিট নষ্ট, এটা তো জালিয়াতি, কীভাবে নিয়োগ হয়েছিল?' প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: ২৬ হাজার চাকরি-বাতিলের নির্দেশ বহাল! নিয়োগ-মামলা নিয়ে কী জানাল সুপ্রিম কোর্ট?