কলকাতা: যেদিন চাকরিহারা যোগ্যদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিলেন মোদি (PM Modi)। সেদিনই যোগ্য়-অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়ে আগের মন্তব্যের থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে নতুন দাবি করলেন এসএসসি (SSC Chairman) চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। এর আগে এসএসসি চেয়ারম্যানের দাবি ছিল, যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব নয়। অযোগ্য না হলে 'বিতর্কিত' শব্দবন্ধ ব্যবহার করেছিলেন এসএসসি চেয়ারম্যান। হলফনামায় জানানো হয়েছিল কতজন এমন রয়েছেন। কিন্তু কারা যোগ্য, তার কোনও আলাদা তালিকা করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ মজুমদার। সেই অবস্থান থেকেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে ৩ মে তিনি জানালেন, 'চাকরিহারাদের মধ্যে যোগ্য-অযোগ্যদের চিহ্নিত করা সম্ভব।' আর এই বিষয়টি নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন আইনজীবীরা। যদি সত্যি এটা সম্ভব হয়ে থাকে তাহলে কেন এতদিন সেই তালিকা এসএসসি জমা দেয়নি এমন প্রশ্ন তুলছেন আইনজীবীদের একাংশ।  


এসএসসি মামলার আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্তর অভিযোগ, 'ডিভিশন বেঞ্চে যখন এই মামলার শুনানি হচ্ছিল। তখন ডিভিশন বেঞ্চ বারবার এসএসসি-কে বলছিল, কে যোগ্য এবং কে অযোগ্য তার তালিকা দিন। কিন্তু এসএসসি তা কখনও দেয়নি। ৩টি হলফনামা দিয়েছে ঠিকই কিন্তু তালিকা দিতে পারেনি। এমনকী সুপ্রিম কোর্টেও তারা কোনও তালিকা দিতে পারেনি কে যোগ্য কে অযোগ্য। এখন এসএসসি চেয়ারম্য়ান বলছেন যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করে তালিকা দেওয়া সম্ভব। যদি সত্যিই এটা বাছাই করা থাকত তাহলে তারা ডিভিশন বেঞ্চে দিতেন। এতদিন কেন দিলেন না। এখন সুপ্রিম কোর্টে মামলা তাই কিছু একটা বলছে। এসএসসি বরাবরই চেষ্টা করেছে যোগ্যদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে অযোগ্যদের বাঁচাতে। তার জন্যই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছে।' 


সিপিএম (CPIM) নেতা এবং আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর দাবি, 'সম্ভব হলে হলফনামা দিয়ে দিন। বলুন এরা যোগ্য, ওরা অযোগ্য। হলফনামা তো চাই, এসব বক্তৃতা দিয়ে লাভ নেই। হলফনামা দিয়ে বলতে হবে, এসএসসিকে দায়িত্ব নিতে হবে। এসএসসি বলছেই না কারা কারা দুর্নীতি করেছে। আজ যদি এসএসসি যদি হলফনামা দাখিল করে বলে যে কারা যোগ্য তাহলে খুবই ভাল। সবাই সেটা মেনে নেবে।'


বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'যোগ্য ও অযোগ্য আলাদা করা হয়নি। তার পিছনে দুরভিসন্ধি ছিল। এটা আগে হলে তো কোনও সমস্যাই হতো না। যারা যোগ্য তাঁরা চাকরি করতেন, যাঁরা অযোগ্য তাঁরা বাদ যেতেন। শুধুমাত্র অযোগ্যদের বাঁচানোর জন্য। যাঁরা লাখ লাখ টাকা দিয়ে চাকরি দিয়েছে, তাঁদের বাঁচানোর জন্য় ওরকম করা হয়েছিল। এটা তো স্পষ্ট হয়ে গেল।'  


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে


আরও পড়ুন: ঘড়ি মেপে সময় খরচ, রুটিন মেনে পড়াশোনা ! চাকরি করেই UPSC-তে সফল বাংলার দিয়া