কলকাতা : কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) থেকে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)। একের পর এক ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। সবমিলিয়ে পঞ্চবাণের মুখে শাসক থেকে সরকার। শিক্ষা থেকে পুর-নিয়োগে দুর্নীতি-বেনিয়ম, পরপর ধাক্কা রাজ্যের (West Bengal Government)। প্রাথমিক-পুরসভা নিয়োগ থেকে অভিষেকের মামলাতেও একই অবস্থা। 


প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে (Primary Teacher Recruitment Scam) বেনিয়মের জেরে বেনজির নির্দেশ হাইকোর্টের । প্রাথমিকে একসঙ্গে ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ। পাশাপাশি ৩ মাসে নতুন প্যানেল করার নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay)। সরকার চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য-র টাকায় নিয়োগ প্রক্রিয়া করানোর নির্দেশ হাইকোর্টের।


এদিকে, হাকিম বদলেও, বদলাল না হুকুম। রক্ষাকবচ পেলেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। অভিষেকের মামলায় কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিলেন না বিচারপতি অমৃতা সিন্হা (Justice Amrita Sinha)। সঙ্গে এজলাস বদলেও স্বস্তি মিলল না রাজ্যের, পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে বহাল সিবিআই।


রাজ্যের আপত্তি খারিজ হলেও ২ জায়গায় শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভা-মিছিলে হাইকোর্টের অনুমতি। সিমলাপাল, পটাশপুরে বিরোধী দলনেতার সভা-মিছিলে হাইকোর্টের অনুমতি। 'স্পর্শকাতর' এলাকায় শুভেন্দুর মিছিলের সওয়াল রাজ্যের। যদিও তা খারিজ হাইকোর্টের।


দ্য কেরালা স্টোরি (The Kerala Story) ব্যান নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার। সবাইকে সিনেমা দেখার সুযোগ দেওয়া হোক, মন্তব্য প্রধান বিচারপতির। দ্য কেরালা স্টোরি দেখানো হলে অশান্তিতে উস্কানি দেওয়ার রাজ্যের যুক্তি খারিজ।


আরও পড়ুন- প্রাথমিকে ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি বাতিল, ৩ মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ


প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে যে টেট পরীক্ষা হয়েছিল, তার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে প্রাথমিকে সাড়ে ৪২ হাজার পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। যার মধ্যে ৩৬ হাজার জনই ছিলেন সেই মুহূর্তে অপ্রশিক্ষিত শিক্ষক। ২০১৬-য় নিয়ম মেনে নিয়োগ হয়নি, এই অভিযোগে মামলা করেছিলেন ১৪০ জন পরীক্ষার্থী। নিয়োগের প্রাক্কালে কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট না নেওয়া, সংরক্ষণ নীতি না মানার মতো অভিযোগও উঠেছিল। সেই নিয়ে দীর্ঘ শুনানির পর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কী রায় দেন, সেদিকেই নজর ছিল সকলের। সেই রায়েই চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ২০১৬ সালে যাঁরা প্রশিক্ষিত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন তাঁদের চাকরি থাকছে। পাশাপাশি ২০১৪ সালে পরীক্ষায় যাঁরা বসেছিলেন, লক্ষাধিক পরীক্ষার্থীদের সবাইকে নতুন করে পরীক্ষায় বসার সুযোগ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?