সন্দীপ সরকার, কলকাতা: কলকাতায় (kolkata) ফের ডেঙ্গি (dengue) আক্রান্তের মৃত্যু (death)। মৃতের নাম কৃষ্ণা গঙ্গোপাধ্যায়। বাড়ি হরিদেবপুরের (haridevpur) ব্যানার্জিপাড়া এলাকায়। গত কাল তাঁকে ভর্তি করা হয় বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ভেন্টিলেশনে (ventillation) রাখা হয় কৃষ্ণাকে। আজ ভোরে মৃত্যু হয় ৫৬ বছরের ওই রোগিণীর। ডেথ সার্টিফিকেটে উল্লেখ ডেঙ্গি শক সিনড্রোমে (dengue shock syndrome) মৃত্যু হয়েছে তাঁর । এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১১ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হল। 


যা জানা গেল...
গত সোমবারই জ্বর এসেছিল কৃষ্ণার। ওই দিন তাঁকে টালিগঞ্জের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পর দিন তাঁর ডেঙ্গি রিপোর্ট পজিটিভ আসে। কিন্তু শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় গত রাতে বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল ৫৬ বছরের প্রৌঢ়াকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, একাধিক অঙ্গ বিকল হতে শুরু করেছিল রোগিণীর। ফলে ভেন্টিলেশনে রাখা কৃষ্ণা গঙ্গোপাধ্যায়কে। আজ ভোর পাঁচটায় মারা যান তিনি। তাঁর ছেলেও ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে কলকাতা পুরসভার ওই ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডেই আর এক ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছিল। অল্প দিনের ব্যবধানে একই ওয়ার্ডে দুই ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুতে চিন্তায় বাসিন্দারা। স্বাস্থ্য দফতর অবশ্য এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।


কী পরিস্থিতি?
সার্বিক ভাবেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। গত ৩ সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৩০৯ জন।  এর মধ্যে শেষ দশ দিনে মৃতের সংখ্যা পরিসংখ্যানে ৩ হাজার ৭৯ জন। প্রতিদিন অন্তত ৪০০-র বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে ডেঙ্গিতে। সবচেয়ে খারাপ ছবি ছটি জেলার যার শীর্ষে রয়েছে হাওড়া। এখনও পর্যন্ত এই জেলায় আক্রান্তের সংখ্য়া ১ হাজার ২৭১ জন। তার পরই রয়েছে, , জলপাইগুড়ি, উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, হুগলি ও মুর্শিদাবাদ। এই জেলাগুলির পরিস্থিতিও কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে প্রশাসনের। আর মৃতের সংখ্যা ধরলে, ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির কথা উল্লেখ রয়েছে এমন ঘটনার সংখ্যা ১১। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি অত্য়ন্ত উদ্বেগজনক। মোকাবিলায় এবার সচেতনতার উপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের অনেকে। বিশেষত মশা তাড়ানোর দিকটি নজরে রাখা জরুরি, মত অনেকের। পাশাপাশি ড্রামে যেন জল না জমে। কোনও জায়গায় যেন দীর্ঘদিন বর্জ্য জমে না থাকে। প্রয়োজনে মশার নেট ব্য়বহার, মশারির ব্যবহার, মশা রেপেল্যান্টসের ব্যবহারও করতে হবে। লক্ষ্য একটাই। রোগের শিকার হওয়ার আগেই তা আটকে দেওয়া।


আরও পড়ুন:গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে কিল, চড়, ঘুসি জমি জালিয়াতির তদন্ত করতে গিয়ে আক্রান্ত খোদ পুলিশ!