কলকাতা: রাজ্যে আরজিকর মামলার রায়ের পরেও এখনও বহু প্রশ্ন মানুষের মুখে মুখে। দেখতে দেখতে অনেকগুলি মাস পেরিয়ে, আজ ২০২৫। যদিও তার জন্য প্রতিবাদ থামেনি। এবিপি আনন্দ-এর'যুক্তি তক্কো' অনুষ্ঠানে এসে এবার বড় প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন বিজেপি বর্ষীয়ান নেতা দিলীপ ঘোষ।
দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আগেও প্রচুর আন্দোলন হয়েছে। এমারজেন্সি পিরিয়োর্ডেও হয়েছে। তবে এই আন্দোলনটা আলাদা। বাঙালির যে প্রতিবাদী চরিত্র,সেই চরিত্রটা আমরা দেখতে পেয়েছি। এর জন্যই আমরা বাঙালি। আমরা গর্বিত এই জন্যই। অনেক ভালমন্দ আছে এর মধ্যে। কিন্তু প্রতিবাদ করতে পারি, পিষে যাই না।যেটা মহিলারাও দেখিয়েছেন। আর অরাজনৈতিক, যারা ডাক্তার। ডাক্তার মানে আমরা জানি, যারা লেখাপড়ায় ভাল, ভাল ছেলে, তাঁরা দিনের পর দিন রাত জেগেছে। তাঁরা নের্তৃত্ব দিয়েছে বলেই সাধারণ মানুষ এসেছে। আর আমরাও ঝাপিয়ে পড়ে, জলঘোলার চেষ্টা করিনি। আমি ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি। কিন্তু আমার যেটা অভিযোগ ছিল যে, সেখানেও কালেকটিভ হয়েছে। রং দেখে বিচার হয়েছে। আমি গেলে গো ব্যাক। আপনি গেলে ওয়েলকাম। তাহলে আন্দোলন কীকরে এক হবে ?'
আর জি কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদা আদালত। এই প্রেক্ষাপটে পরিবার থেকে আন্দোলনকারী চিকিৎসক...সবাই প্রশ্ন তুলেছেন CBI-এর তদন্ত নিয়ে। ফের সেই প্রশ্নই তুললেন নিহত চিকিৎসকের মা ও সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়। একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন আমৃত্য়ু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সঞ্জয় রায়ের আইনজীবীও। নিহত চিকিৎসকের মা বলেন, 'আমি বলব সঞ্জয় তো অপরাধী। কিন্তু সিবিআই সেভাবে প্রমাণ করতে পারেনি যে আমার মেয়ের মৃত্যুটা রেয়ার অ্যান্ড রেয়ার কেস। সিবিআই পারেনি, কলকাতা পুলিশও পারেনি।'
আরও পড়ুন, কলকাতায় প্রকাশ্য রাস্তায় তরুণীর নলিতে কোপ ! ফিনকি দিয়ে বের হল রক্ত, প্রাণে বাঁচতে দৌঁড়ল তরুণী..
সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, নিম্ন আদালত দেখেছেন যে তদন্ত প্রক্রিয়া যেটা তাঁর সামনে প্রসিকিউশন তুলে ধরেছে, সেখানে অনেক ফাঁকফোকর আছে। অনেককিছু তদন্ত ঠিকভাবে করা হয়নি। সোমবার রায় ঘোষণার সময় শিয়ালদা কোর্টের বিচারক অনির্বাণ দাস বলেন, তিনি এই ঘটনাকে বিরলের মধ্য়ে বিরলতম বলে মনে করেন না। এই প্রেক্ষাপটে পরিবার থেকে আন্দোলনকারী চিকিৎসক...সবাই প্রশ্ন তুলেছেন CBI-এর তদন্ত নিয়ে। তার আগে কলকাতা পুলিশ যে তদন্ত করেছিল তা নিয়েও। নিম্ন আদালতের রায়ের পরও বারবার প্রশ্ন উঠছে, তদন্তে ফাঁকফোঁকর নিয়ে।