কলকাতা: আর জি কর-মামলায় পিছিয়ে গেল 'সুপ্রিম' শুনানি (RG Kar Case SC Hearing)। এদিকে আরজি কর মামলায় সুপ্রিম কোর্টে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে বাংলা-সহ সারা দেশ। 'সুপ্রিম' শুনানি পিছোতেই এবিপি আনন্দ-কে প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক তথা অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী,  রাজনৈতিক বিশ্লেষক শুভময় মৈত্র এবং বিশিষ্ট চিকিৎসক কুণাল সরকার।


এদিন চিকিৎসক কুণাল সরকার বলেন, 'বিচারের যে একটা প্রত্যাশা এবং বিচারের জন্য যে আমাদের রাজ্যের মধ্যে একটা অপেক্ষা চলছে, আমি জানি না, দিল্লিতে বা সুপ্রিম কোর্টে আমাদের সেই মনোভাবটা আমাদের সেই প্রয়োজনটা, জানাতে পেরেছি ? বুঝতে পারছি না। কোথাও যেনও মনে হয়েছে যে, সুপ্রিম কোর্ট এটাকে একটু ৫টা সাধারণ কন্সটিটিউশনাল ম্যাটার বা একটা জেনারালিটি দিয়ে দেখছেন ! তাঁদের থেকে আরও দৃঢ় হাতে আরও কড়া মনোভাব আশা করা হয়েছিল।আমরা অনেকটা সময় নষ্ট হতে দেখলাম।'


 অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেন ,'মানুষের মধ্যে হতাশা তৈরি হবে, সেটা শুধু রাজ্যের মানুষের জন্য তা নয়। সারা ভারতবর্ষ, সারা পৃথিবীর মানুষ, যারা আরজিকরের জন্য ন্যায় বিচার চেয়েছেন, তাঁরা কিন্তু হতাশাগ্রস্থ হবেন। ইতিমধ্যেই একটা দীর্ঘ সময় পরে দ্বিতীয় শুনানি করা হচ্ছে। দুটো সপ্তাহের পরে তাঁরা শুনানি করছে। তাই ইতিমধ্যেই একটা বড় ব্যবধান তৈরি হয়েছে। দ্বিতীয় যে বিষয়টা, দেখো আমরা আদালতের প্রতি অবশ্যই দায়বদ্ধ। এবং আমরা সম্মানের সঙ্গে আদালতকে দেখব। কিন্তু একই সময় দাঁড়িয়ে আর ৫ টা মামলার মতো তো আরজি করের মামলা নয়। সারা পৃথিবী যখন ন্যায় বিচারের জন্য অপেক্ষা করছে, তখন এটা কিন্তু আদালতকেও বুঝতে হবে, কেবলমাত্র এটা আর ৫ টা মামলার মতো মামলা নয়। সারা ভারতবর্ষের মানুষ যখন ন্যায়বিচারের জন্য অপেক্ষা করছে, তখন সুপ্রিম কোর্ট হয় এগিয়ে দিত পারত, কিন্তু কী কারণে পিছোল , সেটা বোধগম্য হল না। দ্বিতীয়ত এই মামলাটা হাইকোর্চে ছিল। সুপ্রিম কোর্ট নিজের উদ্যোগে নিজের হাতে নেয়।আমরা মনে করেছিলাম, হাইকোর্ট থেকে মামলা যখন নিজের হাতে নিচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট, তাহলে দ্রুততার সঙ্গে ন্যায় বিচার সম্পূর্ণ হবে। আমরা যেটা ভয় পাই, সেটা হল তারিখের পর তারিখ..' ! তাৎপর্যমূলক প্রতিক্রিয়া অধ্যাপকের। 


আরও পড়ুন, RG কর-মামলায় আগামীকাল সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হচ্ছে না, সম্ভাবনা কবে ?


 রাজনৈতিক বিশ্লেষক শুভময় মৈত্র বলেন, 'একটা অসহয়তার প্রশ্ন এখানে আসবে। আমাদের ছোটোবেলায় অঙ্ক পরীক্ষা দেওয়ার আগে যখন প্রস্তুতি থাকতো না, পেটে ব্যাথার অভিনয়টা আমরা ভালই করতাম। সুতরাং আশা করব গণতান্ত্রিক যে স্তম্ভ আমাদের দেশের, সেখানে পেট ব্যাথার অভিনয় নিশ্চয় কোথাও করা হচ্ছে না। নিশ্চয় সত্যিকারের কিছু অসুবিধা হয়েছে। আর তা যদি না হয়,  তাহলে বুঝতে হবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের গলার স্বর সম্ভবত এখনও দিল্লি অবধি পৌঁছয়নি।'


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।