কলকাতা : সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকে তাঁরা তাকিয়ে। তারপরেই পুনরায় কর্মবিরতিতে যাওয়া নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে তা জানিয়ে দেবেন বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেইমতোই এবার আলোচনায় বসতে চলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা যে বারবার কর্মস্থলে নিরাপত্তার দাবিতে সরব হয়েছেন, তা নিয়ে এদিন রাজ্যের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্নও তুলেছে, '৫০ শতাংশের বেশি কাজ হয়নি, কেন এত ধীরগতি ?' তার ভিত্তিতে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষের আশ্বাস দেয় রাজ্য সরকার।


এই শুনানি-পর্ব শেষে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে অনিকেত মাহাতো বলেন, "শুনানির জায়গা থেকে এটাই বলার, প্রকৃত দোষী কারা ? এই ঘটনার মোটিভ কী ছিল ? এই জায়গাটা সুস্পষ্টভাবে সামনে আসা উচিত। যে বা যারা দোষী তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা অতি দ্রুততার সঙ্গে প্রয়োজন। পরিষেবা শুরু করতেই পারি। সুপ্রিম কোর্ট এটাও বলেছে, জুনিয়র ডাক্তার এবং রাজ্য প্রশাসনের মধ্যে একটা কনফিডেন্স বিল্ডআপ করার প্রচেষ্টা করতে হবে। সেই জায়গা থেকেই আমরা নিরাপত্তার বিষয়টি বাস্তবায়িত করা হোক, এই জায়গাটা চেয়েছিলাম। সুপ্রিম কোর্টে এটাও শুনলাম যে, কাজের অগ্রগতি এখনও সেভাবে হয়নি। আমরাও বাস্তবে দেখতে পাচ্ছি। সিসি টিভি কিছু কিছু জায়গায় হয়তো লাগানো হয়েছে, কিন্তু সেগুলোর মনিটর করা এবং বাকি জায়গাগুলো অনকল রুম শুরু করা, থ্রেট কালচার নিয়ে তদন্ত কমিটি, কলেজে কলেজে টাস্ক ফোর্স তৈরি করা...যে আলোচনার প্রতিশ্রুতি মুখ্যসচিবের মিটিংয়ে হয়েছিল, সেই জায়গার বাস্তবায়িত রূপ কোথায়। কোর্টের অর্ডার দেখি, তারপর আমরা আলোচনা করব। আলোচনা করে জানাব।"


সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর কাণ্ডের মামলার শেষ শুনানি হয়েছে গত ১৭ সেপ্টেম্বর। এরপর, ২৭ শে সেপ্টেম্বর হওয়ার কথা ছিল পরবর্তী শুনানি। কিন্তু রাজ্য সরকারের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি ২ দিন পিছিয়ে যায়। দিন ধার্য হয় ৩০ সেপ্টেম্বর, সোমবার। নিহত চিকিৎসকের বিচারের দাবির পাশাপাশি ১৭ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে, আর জি কর মামলায় সুপ্রিম কোর্টের কাছেও বারবার নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফ থেকে। সেই সময় লাগাতার কর্মবিরতিতে ছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা নিয়ে যখন রাজ্য সরকারের তরফে ক্রমাগত সওয়াল করা হচ্ছিল, তখন পাল্টা নিরাপত্তা চেয়ে রাজ্য সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। যার প্রেক্ষিতে, প্রধান বিচারপতি বক্তব্যেও উঠে এসেছিল কনফিডেন্স বিল্ড আপের প্রসঙ্গ। এর ঠিক ১২ দিন পর, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরও একটি শুনানি। কিন্তু তারই মাঝে ঘটে গেল সাগর দত্ত মেডিক্যালে জুনিয়র চিকিৎসকদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা। যার পর পরই জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে ঘোষণা করে দেওয়া হয়, সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর তাঁরা কর্মবিরতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।    


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।