কলকাতা: রাজ্যজুড়ে ভরা পুজোর মাঝেই, আরজি কর কাণ্ডে চলছে প্রতিবাদ। এদিন ধর্মতলায় জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে দেবাশিস হালদার বলেন, 'এখানে যে ৭ জন সহ যোদ্ধা, আমাদের সহকর্মী, আমরণ অনশনে বসেছেন, ৭২ ঘণ্টা পেরিয়েছে। তাঁদের শারীরিক অবস্থা বেশ উদ্বেগজনক। রক্তের শর্করার মাত্রা কমছে। তাঁদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন। তাঁরা মানসিকভাবে এখনও যথেষ্ট দৃঢ় রয়েছেন। মানসিকভাবে যথেষ্ট শক্ত জায়গায় রয়েছেন। আমরা তাঁদের শারীরিক অবস্থার উপর নজর রাখছি।'


তিনি আরও বলেন,' একটা কথা বলে নেওয়া জরুরি যে, এই যে এটা সবার উদ্বেগ, শুধু আমরা উদ্বিগ্ন এরকম নয়। আজকে যে বহু সাধারণ মানুষ যে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, বিভিন্ন সিনিয়র টিচার, ফ্যাকাল্টি,  অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী এসে দাঁড়িয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই উদ্বিগ্ন বোধ করছেন। সেই উদ্বেগের জায়গাটা সরকারের তরফ থেকে যে দেখানোর কথা ছিল, তা কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি না। তাঁরা কিন্তু যথারীতি বেশ নিশ্চুপ। বেশ নির্লিপ্ত। কী কারণে তাঁদের এই ভূমিকা, আমরা বুঝতে পারছি না। বরং দেখতে পাচ্ছি শাসকদলের বিভিন্ন মুখপাত্রের কাছ থেকে ব্যঙ্গার্থক নানা কথা উঠে আসছে, যে অনশনের নামে নাটক চলছে। এই সব করে আমাদের অনশনকারী যে সহযোদ্ধা, তাঁদের মানসিক দৃঢ়তা ভেঙে দেওয়া যাবে না। সবমিলিয়ে আমাদের আন্দোলনের শক্তি কমানো যাবে না।'


আরও পড়ুন, মুখে কালো কাপড়, RG কর কাণ্ডে দুর্গা পুজোয় অভিনব প্রতিবাদ জলপাইগুড়িতে


প্রসঙ্গত, গতকাল রাজ্যের মুখ্যসচিবের তরফে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আবেদন করা হয়েছে। মুখ্যসচিব বলেছেন যে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় ছিল, তা পুরোপুরি না হলেও, প্রায় ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। মুখ্যসচিবের কথায়, 'আপনারা এবার কাজে ফিরে আসুন। আপনারাও দেখতে পাচ্ছেন, কাজ সব জায়গায় হচ্ছে। তাহলে এখানে দ্বিমতের অবকাশ নেই।' আর ঠিক মুখ্যসচিবের এই বক্তব্যের পাল্টা জুনিয়র ডাক্তারের তরফে বলা হয়,আমরা যখন আগে মিটিং করেছিলাম, চিফ সেক্রেটারি স্যারের সঙ্গে, উনি তো সেইসময় বলেছিলেন, যে আমরা সব দাবি মানছি, কিন্তু যখন লিখিত দেওয়ার কথা চলে এসেছিল, তখন তাঁরা ফিরিয়ে দিয়েছিল।  আমরা গ্রাউন্ড লেভেলে এখনও দেখতে পাচ্ছি, কটা কী কাজ হয়েছে ! আমাদের দাবি অভয়ার মতো আর ঘটনা হতে দেব না।'


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।